পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেজুর খেলে সমস্যা হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
শেষ পাতে চাটনি কিংবা পুজোর প্রসাদ, খেজুরের জনপ্রিয়তা কম নয়। মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি শরীরের জন্যও দারুণ উপকারী। এতে আয়রনের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে রক্তাল্পতার সমস্যায় কেউ ভুগলে খেঁজুর খাওয়া যেতে পারে। উপকার মিলবে। আবার ওজন কমানোর ডায়েটেও রাখা যেতে পারে খেঁজুর। তবে পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেজুর খেলে সমস্যা হতে পারে। যতই স্বাস্থ্যকর হোক, কোনও খাবারই বেশি খাওয়া ভাল নয়। খেজুরের ক্ষেত্রেও এই কথা প্রযোজ্য। ঠিক কী কী সমস্যা হতে পারে বেশি খেজুর খেলে?
পেটের গোলমাল
ড্রাই ফ্রুটস হিসাবে বেশ জনপ্রিয় খেজুর। অনেকেই নিয়ম করে ড্রাই ফ্রুটস খান। তবে খেজুর বেশি খেলে পেট গরম হতে পারে বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদরা। ড্রাই ফ্রুটসে যে খেজুর থাকে, তাতে সালফাইট দিয়ে জারিয়ে রাখা হয়। সালফাইট শরীরে গেলে পেটের গোলমাল দেখা দেয়। গ্যাস-অম্বল ছাড়াও, পেট ফাঁপা, ডায়রিয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। তা ছাড়া, খেজুরে ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। ফাইবারের হজম ক্ষমতা উন্নত করে। তবে ফাইবারের পরিমাণ বেশি হলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
ত্বকের র্যাশ
নিয়ম করে খেজুর খেলে ত্বকে এর প্রভাব পড়তে পারে। সালফাইট নামক রাসায়নিক উপাদান দিয়ে খেজুর সংরক্ষণ করে রাখা হয়। এই সালফাইট শরীরের ভিতরে এবং বাইরে— দু’জায়গাতেই ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এর প্রভাবে ত্বকে র্যাশ, চুলাকানি, লাল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। প্রতি দিন খেজুর না খেয়ে বরং এক দিন অন্তর খেতে পারেন।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা
পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, খেজুর খেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়াবাড়ি আকার নিতে পারে। তাই এমন সমস্যা থাকলে খেজুর খেতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। খেজুর খেলে দেখা দিতে পারে অ্যালার্জিও। তাই অ্যালার্জির সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের খেজুর না খাওয়াই ভাল।
ওজন বেড়ে যেতে পারে
রোগা হওয়ার ডায়েটে অনেকেই খেজুর রাখেন। তবে অতিরিক্ত খেজুর খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। কারণ, খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি। একটি খেজুরে ক্যালোরির পরিমাণ প্রায় ২.৮ গ্রাম। তা হলে বুঝতেই পারছেন, রোজ অন্তত চারটি করে খেজুর খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয় কিছুতেই।