Micronutrient Suppliments

শরীরের বিভিন্ন ঘাটতি মেটাতে মুঠো মুঠো ওষুধ খাচ্ছেন? সতর্ক করছেন শিল্পা শেট্টির বোন

অনেকেই মনে করেন, সাপ্লিমেন্ট খেলে আর ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। আবার কারও ধারণা এই ধরনের খাবারে খেলে পরবর্তী কালে শরীরে নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৩ ১৪:৩৯
Image of Shamita Shetty

অভিনয় জগৎ থেকে দূরে থাকলেও সমাজমাধ্যমে নিয়মিত দেখা যায় অভিনেত্রী শমিতা শেট্টিকে। ছবি: সংগৃহীত।

কোভিডের পর থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ নিয়ে বেশ সচেতনতা তৈরি হয়েছে। রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করতে শরীরে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডির জোগান দিতে নানা রকম খাবার খাওয়া, ‘ইমিউনিটি বুস্ট’ করে এমন অনেক খাবারই সাপ্লিমেন্ট হিসাবে খাওয়া শুরু করেছিলেন অনেকে। এখন আবার বর্ষাকাল। নানা রকম ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়াবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় এই সময়ে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে থাকে। তার উপর রয়েছে দোসর ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, ভাইরাল জ্বর। এর মধ্যে কোনও একটি রোগে আক্রান্ত হলেই শারীরিক ভাবে ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়ছেন অনেকে। এই দুর্বলতা কাটাতে ভিটামিন, কপার, ম্যাগনেশিয়াম, জ়িঙ্কের মতো যৌগ বিশেষ ভাবে প্রয়োজনীয়।

Advertisement

সাধারণ খাবারের মাধ্যমে এই সব যৌগের জোগান দেওয়া সম্ভব হয় না বলেই অনেক সময় বাইরে থেকে ‘মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সাপ্লিমেন্ট’ খেতে হয়। বিশেষ এই খাবারটি নিয়ে মানুষের মনে নানা রকম ধারণা রয়েছে। অনেকেই মনে করেন এই ধরনের খাবারে খেলে পরবর্তী কালে শরীরে নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। সাধারণ মানুষের মন থেকে এই ভুল ধারণা মুছে ফেলতে সম্প্রতি নিজের সমাজমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিডিয়ো পোস্ট করেন অভিনেত্রী শমিতা শেট্টি। তিনি বলেন, “ওষুধ এবং সাপ্লিমেন্ট নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, এই ধরনের সাপ্লিমেন্ট খেলে আর ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। তবে এ ধারণা একেবারেই ভিত্তিহীন। রোগ সারাতে ওষুধের প্রয়োজন রয়েছে। আর সামগ্রিক সুস্থতার জন্যে প্রয়োজন রয়েছে সাপ্লিমেন্টের।”

মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সাপ্লিমেন্ট কেন প্রয়োজন?

১) বয়স বাড়লে শরীরের এই সব প্রয়োজনীয় খনিজের মাত্রাও কমতে থাকে। কম বয়সে খাবারের মধ্যে থেকে খনিজ শোষণ করার যে ক্ষমতা থাকে বয়সকালে তা অনেকটাই হ্রাস পায়। তাই বাইরে থেকে সাপ্লিমেন্টের জোগান দিতে হয়।

২) রাসায়নিক দেওয়া সব্জিতে পুষ্টিগুণ প্রায় থাকে না বললেই চলে। রান্না করার সময়েও অতিরিক্ত তাপ বা মশলার কারণে খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে। তখন বাইরে থেকে সেই সব খনিজের জোগান দিতেই হয়।

৩) যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাঁদের শরীরে বিভিন্ন খনিজের প্রয়োজন হয় বেশি। কায়িক পরিশ্রম করলে ঘামের মধ্যে দিয়ে প্রয়োজনীয় অনেক উপাদানই বেরিয়ে যায়। শুধু খাবারের মাধ্যমে তা পূরণ করা সম্ভব হয় না। তখন বাইরে থেকে সেই সব খনিজের জোগান দিতেই হয়।

Advertisement
আরও পড়ুন