গোটা ধনে দিয়ে তৈরি চা খেয়েছেন কি? ছবি: ফ্রিপিক।
রকমারি রান্নায় গোটা ধনে ফোড়ন দেওয়া হয়। মশলার গুণেই খাবারের স্বাদ-গন্ধ বদলে যায়। অনেকে ধনেগুঁড়ো জলে ভিজিয়ে খান। কিন্তু ধনের বীজ বা গোটা ধনে দিয়ে কখনও চা খেয়েছেন কি? সকালে উঠে দুধ চা খান। তার বদলে নিয়মিত ধনে বীজ দিয়ে তৈরি চা খেলে, ফল পাবেন হাতনাতে।
ডিটক্স পানীয়: পুষ্টিবিদেরা পরামর্শ দেন ঘুম থেকে উঠে জল খাওয়ার। জলের পাশাপাশি সকালে উঠে ডিটক্স পানীয় খেতে বলেন তাঁরা। এতে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়। শরীর অনেক বেশি তরতাজা হয়ে ওঠে। এই চা ডিটক্স হিসাবেই কাজ করবে।
হজমে সহায়ক: ধনেয় রয়েছে ডায়েটারি ফাইবার, যা হজমের গোলমাল ঠেকাতে কার্যকর। ধনে হজমে সহায়ক উৎসেচক, বাইল ক্ষরণে সহায়তা করে। ফলে হজম ভাল হয়। পেটফাঁপা এবং পেটের অস্বস্তি দূর করতেও এই মশলা উপকারী।
শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে: ধনে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায়। রোজ খালি পেটে এই ধনে বীজ দিয়ে তৈরি চা খেলে বশে থাকবে ডায়াবিটিস।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: ধনে বীজ দিয়ে তৈরি চা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। ধনে দিয়ে তৈরি চা বিপাকহার বৃদ্ধিতে এবং হজমে সহায়ক। যা ওজন বশে রাখার জন্য জরুরি।
ভিটামিন,খনিজে ভরপুর: ধনেপাতায় রয়েছে ভিটামি সি, প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম। এ ছাড়াও এই বীজে মেলে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফাইবার-সহ শরীরের জন্য উপকারী বিভিন্ন যৌগ। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে কার্যকর। প্রতিটি খনিজই শরীরের জন্য জরুরি। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা ত্বক এবং চুল ভাল রাখতে কার্যকর।
কী ভাবে চা তৈরি করবেন?
এই চায়ে চা-পাতার ব্যবহার হবে না। জল ফুটলে তাতে ফেলে দিতে হবে ১ টেবিল চামচ ধনের বীজ বা গোটা ধনে। আঁচ কমিয়ে চাপা দিয়ে ফুটতে দিতে হবে কিছু ক্ষণ। তার পর ছেঁকে নিলেই তৈরি ধনে বীজের চা। চিনি নয়, মিষ্টি স্বাদ চাইলে এক চা-চামচ মধু যোগ করতে পারেন। প্রতি দিন সকালে এই চায়ে চুমুক দিলে শরীর সুস্থ থাকবে, ওজন থাকবে বশে।