প্রতীকী ছবি।
হাতে আর মাসখানেক আছে। তার পরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন কৌশিক। একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত তিনি। অফিসে কাজের বিপুল চাপ। তাই বিয়ের কোনও কাজেই বাবা-মাকে সাহায্য করতে পারছেন না তিনি। তা নিয়ে একটা মানসিক অস্বস্তিতে ভুগছেন। তবে অস্থিরতার আরও একটি কারণ রয়েছে তাঁর। কৌশিকের ওজন তাঁর বয়স এবং উচ্চতার তুলনায় খানিকটা বেশি। কৌশিক চাইছেন বিয়ের দিন ধুতি-পাঞ্জাবিতে যেন তাঁকে একটু রোগা দেখায়।
রোগা হওয়ার জন্য এক মাস কম সময় বলা চলে। যদি সম্ভবও হয়, তার জন্য যে ধরনের কড়া ডায়েট করতে হবে বিয়ের আগে তা ঠিক হবে না। অভ্যাস না থাকলে শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে। কৌশিকের মতো অনেকেই বিয়ের আগে ওজন কমানোর উপায় হাতড়ে বেড়ান। কোন পথে হাঁটলে সমাধান মিলতে পারে? আনন্দবাজার অনলাইনকে পুষ্টিবিদ অর্পিতা দেবঘোষ বলেন, ‘‘সবচেয়ে আগে জোর দিতে হবে সুষম আহারে। খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম তো ওজন বেড়ে যাওয়ার একটি কারণ। তাই ওজনে রাশ টানতে গেলে খাবার খাওয়ার সময় এবং পরিমাণে একটা সমতা বজায় রাখা জরুরি।’’
অল্প সময়ে ওজন কমাতে গিয়ে অনেক সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ দ্রুত রোগা হওয়ার চাপ মাথায় নিয়ে অনেকেই উপোস করা কিংবা একেবারে কম খাওয়ার পথ বেছে নেন। খাওয়াদাওয়া করেও কি রোগা হওয়া সম্ভব নয়? অর্পিতা বলেন, ‘‘নিশ্চ/ই সম্ভব। তবে তা নির্ভর করছে কী খাচ্ছেন এবং কতটা খাচ্ছেন, তার উপর। গরমকাল মানেই ফলের মরসুম। সব্জিও নানা রকমই থাকে। ফলে কম সময়ে ওজন কমাতে নিয়ম করে ফল এবং সব্জি খেতে হবে। যে সব ফলে জলের পরিমাণ বেশি, সে সব খুব উপকারী। এ ছাড়াও, জল খেতে হবে বেশি পরিমাণে। শরীর যদি শুকিয়ে যায়, ওজন কমানো মুশকিল হতে পারে।’’
চটজলদি রোগা হতে দৈনন্দিন জীবন থেকে কোন অভ্যাসগুলি একেবারে বাদ দিয়ে দেওয়া জরুরি? পুষ্টিবিদের কথায়, ‘‘বাইরের খাবার খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে। বাড়ির তৈরি ঘরোয়া খাবার খেতে হবে। বাইরের খাবারের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেই ওজন কমানো সহজ হবে। মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তাতেও রাশ টানতে হবে।’’
স্বল্প সময়ের মধ্যে রোগা হতে চাইলে শরীরচর্চা কি কাজে আসতে পারে? পুষ্টিবিদ বলেন, ‘‘শরীরচর্চার বিকল্প তো কিছু হয় না। শুধু ওজন কমাতে নয়, শারীরিক কোনও সমস্যার ক্ষেত্রেও শরীরচর্চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই খাওয়াদাওয়া নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি শরীরচর্চা করলে সত্যিই দ্রুত উপকার মিলতে পারে।’’