কোন ভুলে বাড়ে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা? ছবি: সংগৃহীত।
মাইগ্রেনের যন্ত্রণা বলে-কয়ে আসে না। অফিসে জরুরি মিটিং চলছে। হঠাৎই কপালজুড়ে শুরু হল যন্ত্রণা। প্রেমিকার সঙ্গে ডেটে গিয়েছেন। সবে কফির কাপে চুমুক দিতে যাবেন, দপদপ করে উঠল মাথার মধ্যে। এমন ভাবে অনেকেই মাঝেমাঝে মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় কাবু হয়ে প়ড়েন। কখনও যন্ত্রণা এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, প্রাত্যহিক কাজ করা দুষ্কর হয়ে ওঠে। মাইগ্রেনের ব্যথা এক বার শুরু হলে সহজে তা কমতে চায় না। মাইগ্রেন মূলত জিনঘটিত রোগ। মস্তিষ্কের ‘ট্রাইজেমিনাল নার্ভ’ উত্তেজিত হলেও এই ব্যথা হয়। তবে দৈনন্দিন জীবনের কিছু ভুলও ডেকে আনতে পারে মাইগ্রেন।
দেরি করে খাওয়া
ছুটির দিনে বাড়িতে সময়মতো খেয়ে নিলেও সপ্তাহের বাকি দিনগুলি অফিসে সময় মেপে খাওয়া হয় না। কাজের চাপে খাবার খেতে অনেকেই ভুলে যান। কিংবা খিদে পেলেও খাওয়ার সুযোগ থাকে না। অনেক ক্ষণ খালি পেটে থাকলে বা সময় মতো না খেলে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বেশি শরীরচর্চা করলে
শরীরচর্চা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় বেশি শরীরচর্চা করলে মুশকিল হতে পারে। বেশি শরীরচর্চা করলে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা কমে যায়। ফলে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে
হটডগ, বেকন, পিৎজ়ার মতো খাবার স্বাদের যত্ন নিলেও শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। বিশেষ করে মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি। এ ধরনের খাবার খেলে মাইগ্রেনের ব্যথা বা়ড়তে পারে।
জল কম খেলে
সারা দিনে পরিমাণ মতো জল না খেলে দেখা দিতে পারে মাইগ্রেনের মতো সমস্যা। জল কম খাওয়ার কারণে শরীর আর্দ্র হয়ে পড়ে। জলের অভাবে যে সমস্যাগুলি দেখা দেয়, মাইগ্রেন তার মধ্যে অন্যতম। দিনে অন্তত ৩ লিটার জল না খেলে শরীরে যে জলশূন্যতা তৈরি হয়, মাইগ্রেনের ব্যথার নেপথ্যে সেটিও একটি কারণ।
রোদে ঘোরাঘুরি করলে
চড়া রোদে বেরোলেই মাথা দপদপ করে? হতে পারে মাইগ্রেনের লক্ষণ। তাই চড়া রোদ এড়িয়ে চলাই ভাল। রোদ থেকে ফিরেই যদি মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়, তা হলে কিছু ক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখতে পারেন।