Right Way to do Kapalbhati

জিমে যাওয়ার সময় নেই? সারা দিনে মিনিট দুয়েক খরচ করলেই রোগা হওয়ার পথ সহজ হবে

যাঁরা জিমে গিয়ে ভারী ওজন নিয়ে কসরত করতে পছন্দ করেন না, তাঁরাও ওজন ঝরানোর জন্য যোগাসনের উপরেই ভরসা রাখেন। অন্যান্য যোগাসনের পাশাপাশি কপালভাতি প্রাণায়ামও নিয়মিত অভ্যাস করলে নানা রকম শারীরিক ও মানসিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৪ ১৮:১৭
Nine amazing Kapalbhati benefits that can completely change your life

ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীরচর্চা না করেই রোগা হবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।

শরীর আর মন চাঙ্গা রাখতে যোগাসনের কোনও জুড়ি নেই। যাঁরা জিমে গিয়ে ভারী ওজন নিয়ে কসরত করতে পছন্দ করেন না, তাঁরাও ওজন ঝরানোর জন্য যোগাসনের উপরেই ভরসা রাখেন। অন্যান্য যোগাসনের পাশাপাশি কপালভাতি প্রাণায়ামও নিয়মিত অভ্যাস করলে নানা রকম শারীরিক ও মানসিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। খুব বেশি সময় নয়, এর জন্য মিনিট খানেক সময় খরচ করলেই হবে। কপালভাতি প্রাণায়ম হল শ্বাসের এক ধরনের যোগাসন। সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে করলে এই যোগাসনের ফলে শরীর ও মন সচল হয়। জেনে নিন আর কী কী গুণ আছে এই আসনের।

Advertisement

রোজ নিয়ম করে এই প্রাণায়াম করলে কী কী লাভ হয় শরীরের?

১) এই আসন পেটের মেদ ঝরাতে কাজে আসে।

২) যাঁরা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরাও এই আসনটি করলে উপকার পাবেন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেও এই আসন দারুণ উপকারী।

৩) ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই আসন কার্যকরী।

৪) অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন? নিয়মিত এই আসনটি করলে হতে পারে মুশকিল আসান।

৫) নিয়মিত ধূমপান না করলেও ফুসফুসের খেয়াল রাখা জরুরি। ফুসফুস চাঙ্গা রাখতেও এই আসন নিয়মিত করতে পারেন। শ্বাসজনিত কোনও সমস্যা থাকলেও উপকার পাবেন।

৬) ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতে, চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও এই আসন উপকারী।

৭) স্নায়ুতন্ত্রের উপরে এই আসন প্রভাব ফেলে। রক্তচলাচলও স্বাভাবিক করে। তার ফলে মস্তিষ্ক সচল হয়।

Nine amazing Kapalbhati benefits that can completely change your life

নিয়মিত কপালভাতি করলে মনোসংযোগ বাড়ে। ছবি: সংগৃহীত।

৮) সারা দিন কাজের পরে ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য করে এই আসন।

৯) নিয়মিত কপালভাতি করলে মনোসংযোগ বাড়ে, স্মৃতিশক্তিও উন্নত হয়।

কপালভাতি করার নিয়ম

একটি ফাঁকা জায়গায় শান্ত হয়ে পদ্মাসনের ভঙ্গিতে বসুন। প্রথমে স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস নিন। শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হলে মুখ দিয়ে শ্বাস নিয়ে কিছু ক্ষণ ধরে রাখুন। এ বার ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। শ্বাস ছাড়ার সময়ে পেট যেন ভিতরের দিকে ঢুকে আসে, সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এই পদ্ধতি মেনে ২০ বার শ্বাস নিন ও ছাড়ুন। মিনিট খানেকের বিরতি নিন। আবার ২০ বার এই ভাবে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়া অভ্যাস করুন। প্রথম দিকে মিনিট দুয়েক এই আসন করুন, ধীরে ধীরে সময় বদ্ধি করতে পারেন।

আরও পড়ুন
Advertisement