রাতের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে কে? ছবি: সংগৃহীত।
সারা দিনে কায়িক পরিশ্রম কম হয় না। সন্ধ্যা থেকে একের পর এক হাই উঠতে থাকে, ক্লান্ত লাগে। কিন্তু রাতে বিছানায় শুতে গেলে কিছুতেই ঘুম আসতে চায় না। এক-আধটা দিন এমন হলে তা-ও চলতে পারে। কিন্তু দিনের পর দিন এমনটা চলতে থাকলে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দিতেই পারে। তবে অনিদ্রার মতো রোগের পিছনে যে সব সময়ে মানসিক চাপ বা উদ্বেগের হাত রয়েছে, এমনটা কিন্তু নয়। সাধারণ কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
কোন কোন খাবার খেলে ঘুম দূরে চলে যেতে পারে?
১) কফি
সারা দিনের ক্লান্তি কাটাতে কফির জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু এই কফিই বাড়িয়ে দিতে পারে উদ্বেগের সমস্যা। কারণ কফিতে থাকা ক্যাফিন স্নায়ুর কার্যকারিতা শিথিল করে দেয়। সেই সঙ্গে ক্যাফিন রক্তচাপের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। উচ্চ রক্তচাপ মানসিক উদ্বেগের একটি অন্যতম বড় কারণ। ক্যাফিন মাত্রেই যে ক্ষতিকর, তা নয়। দিনে ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন খেলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে এর বেশি খেলে কিন্তু উদ্বেগ বাড়তে পারে। তাই রাতে ঘুমোনোর আগে কফি না খাওয়াই ভাল।
২) ভাজাভুজি
এই ধরনের খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাট। এই ফ্যাট অনিদ্রার সমস্যার একটি অন্যতম কারণ। কারও যদি ঘুম না আসার সমস্যা থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে রাতের খাবারে বেশি তেল-মশলা এবং ভাজাভুজি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। তা ছাড়া এই ধরনের খাবার উদ্বেগের মাত্রাও বাড়িয়ে দিতে পারে।
৩) মিষ্টি
মনখারাপের দাওয়াই নাকি মিষ্টি। মিষ্টি খেলে কারও কারও নাকি মনখারাপ চলে যায়। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সেটা একান্তই ব্যক্তিগত ধারণা হতে পারে। কিন্তু কেক, পেস্ট্রি বা এই ধরনের খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এক ধাক্কায় এনার্জির মাত্রাও অনেকটা নীচে নেমে যায়। শর্করার মাত্রা ওঠানামা করায় উদ্বেগও নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে যায়। তাই অনিদ্রার সমস্যা যাঁদের দীর্ঘ দিনের, রাতে তাঁদের মিষ্টিজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকার কথা বলেন চিকিৎসকরা।
৪) ডার্ক চকোলেট
শুধু চা কিংবা কফি নয়, ডার্ক চকোলেটের মধ্যেও যথেষ্ট পরিমাণে ক্যাফিন থাকে। রাত ৮টা নাগাদ ডার্ক চকোলেট খেলে, তার মধ্যে থাকা ক্যাফিনের প্রভাব থাকতে পারে রাতভর। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পরিমাণের উপর নজর রাখলে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
৫) অতিরিক্ত মশলা, অ্যাসিড-যুক্ত খাবার
রাতে এই ধরনের খাবার খেলে অনেকেরই গলা-বুক জ্বালা করে। শোয়ার সময়ে এই ধরনের অস্বস্তি হলে কিছুতেই ঘুম আসবে না। সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বেশি করে জল খেতেই পারেন। কিন্তু তাতেও সমস্যা আছে। বার বার প্রস্রাবের বেগ আসতে পারে। তার জন্যেও ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।