ট্যাটু তোলা কি ঝক্কির? ছবি: সংগৃহীত।
সঙ্গীর নাম হাতে খোদাই করার আগে বন্ধুরা অনেক বার সাবধান করেছিল। তখন তাঁদের কথায় কান দেননি। কিন্তু এখন সেই সঙ্গী প্রাক্তন হতেই ট্যাটু মোছার জন্য অস্থির হয়ে উঠেছেন। ট্যাটু করাতে যতটা কষ্ট হয়, তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ব্যথা সহ্য করতে হয় তা মুছতে গেলে। সে কথা জানেন। কিন্তু সম্পর্কই যখন নেই তখন শুধু শুধু ট্যাটুর মোহ রেখেই বা কি লাভ? তার চেয়ে বরং লেজ়ারের কষ্ট সহ্য করা ভাল। তবে মুখে বলা যতটা সহজ, এই ট্রিটমেন্ট করা ততটা সহজ নয়।
লেজ়ার করানোর পর ট্যাটু পুরোপুরি মুছে যায় কি?
শরীরের বিভিন্ন অংশে গাঢ় রং দিয়ে আঁকা ট্যাটু তুলতে গেলে লেজ়ারের সাহায্য নিতে হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হাতের রং পুরোপুরি তুলে ফেলা যায়। তবে, ব্যতিক্রমও আছে। কী ধরনের রং ব্যবহার করা হচ্ছে সেই বিষয়টি এ ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। লেজ়ারের আলোর, এক একটি রং শোষণ করার ক্ষমতা এক এক রকম। তাই এক বার সেই ট্রিটমেন্ট করালেই যে সমস্ত রং উঠে যাবে এমনটা না-ও হতে পারে। যেমন কালো রঙের চেয়ে হলুদ রং তোলা অনেক সহজ। ট্যাটু মুছতে কতগুলি সেশন প্রয়োজন বা কী ধরনের মেশিন ব্যবহার করা হবে, তা নির্ভর করবে রঙের ব্যবহারের উপর।
ট্যাটু তুলতে কত ক্ষণ সময় লাগে?
ট্যাটু রং পুরোপুরি তুলতে বেশ কয়েকটি সেশন প্রয়োজন হয়। তবে কার ক্ষেত্রে কটা সেশন লাগবে, তা নির্ভর করে ট্যাটুর রং, আকার এবং ওই ব্যক্তির ত্বকের ধরনের উপর। হাতে আঁকা খুব ছোট একটি ট্যাটুর জন্য ২ থেকে ৩টি সেশন লাগতে পারে। আবার, পিঠজোড়া ট্যাটু তুলতে একাধিক সেশন প্রয়োজন হতে পারে।
লেজ়ারের সাহায্যে ট্যাটু তোলা কি নিরাপদ?
চুল হোক বা ত্বক, যে কোনও ধরনের কৃত্রিম ট্রিটমেন্ট করানোর পর সঠিক ভাবে পরিচর্যা করতেই হয়। ট্যাটু তোলার পরও তাই। না হলে ক্ষতস্থানে অ্যালার্জি, র্যাশ, জ্বালা বা লালচে ভাব দেখা দিতে পারে। কারও ত্বকে যদি নির্দিষ্ট কোনও সমস্যা থাকে, সে ক্ষেত্রে ট্যাটু করা বা তোলার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।