চোখ শুষ্ক হওয়ার সমস্যা থাকলে লেন্স পরতে বা খুলতে সমস্যা হতে পারে। ছবি : সংগৃহীত
প্রতি দিন চোখে চশমা এঁটে কাজে বেরোলেও, এক-আধটা দিন বাহারি পোশাকের সঙ্গে লেন্স পরতে ইচ্ছা হয়। কিন্তু লেন্স পরেন, এমন নানা জনের কাছে নানা রকম কথা শুনে লেন্স পরা নিয়ে মনে মনে একটু ভয় পেয়েই আছেন।
চিকিৎসকদের মতে, ২৫ বছরের কমবয়সিদের মধ্যে অন্তত ৩০ শতাংশের বিভিন্ন ধরনের চোখের সমস্যা রয়েছে। মায়োপিয়া, হাইপারমেট্রোপিয়া বা অ্যাস্টিগমাটিজমের মতো সমস্যা ঘরে ঘরে দেখা যায়। তাই এই সব সমস্যাকে বাড়তে না দেওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় চশমা বা কন্ট্যাক্ট লেন্স।
দু’টিরই নিজস্ব কিছু সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে কন্ট্যাক্ট লেন্স চশমার চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। কার ক্ষেত্রে কোনটা বেশি কার্যকর, তার জন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে।
লেন্স নিয়ে প্রচলিত যে কথাগুলি লোকমুখে ঘোরে, সেগুলি হল—
১) লেন্স নিয়ে অনেকেরই প্রচলিত ধারণা হল, চোখের পাওয়ার খুব বেশি হলে তাঁরা নাকি লেন্স পরতে পারবেন না। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। চোখের পাওয়ার বেশি হলে তার জন্যও নির্দিষ্ট ধরনের লেন্স পাওয়া যায়।
২) অন্যান্য সময়ে চশমা পরলেও বাইরে ঘুরতে গেলে, শখ করে লেন্স পরার ইচ্ছা হতেই পারে। অনেকে মনে করেন, বাইরে ঘুরতে গেলে লেন্স সামলানো ঝক্কির কাজ। তা কিন্তু একেবারেই নয়। শুধু চোখে কিছু পড়লে বা চোখে বার বার হাত দিলে অসুবিধা হতে পারে।
৩) অসাবধানে চোখ থেকে লেন্স খুলে আসতে পারে। লেন্স এক বার চোখে বসে গেলে, চোখ থেকে তা কখনওই খুলে আসতে পারে না। চোখের মধ্যে থেকেই জায়গার সামান্য অদলবদল ঘটতে পারে মাত্র।
৪) চোখ শুষ্ক হওয়ার সমস্যা থাকলে লেন্স পরতে বা খুলতে সমস্যা হতে পারে। তাই বলে লেন্স চোখের ভিতর আটকে যেতে পারে না। হাত দিয়ে খুলতে সমস্যা হলে লেন্স খোলার জন্য যে যন্ত্রটি পাওয়া যায়, তার সাহায্য নিতে পারেন।
৫) ছোটদের লেন্স পরা উচিত নয় বলে অনেকে মনে করেন। এ-ও কিন্তু এক রকম ভ্রান্ত ধারণা। লেন্স হোক বা চশমা, দুই-ই ছোটদের জন্য বাড়তি বোঝা। কিছু ক্ষেত্রে যেমন লেন্সের সুবিধা রয়েছে, আবার কিছু ক্ষেত্রে চশমারও উপকারিতা রয়েছে। দু’টি জিনিসের ব্যবহার এবং পরিষ্কার করার পদ্ধতি আলাদা। তাই শুধু সেই সম্পর্কে সবটা জানিয়ে রাখাই ভাল।