Mental Stress and Obesity

ডায়েট করে, জিমে গিয়েও রোগা হতে পারছেন না? অবসাদ গ্রাস করেনি তো?

সব নিয়ম মেনে চলেও ওজন বাড়তে থাকলে যত্ন নিতে হবে মনের। কারণ অবসাদ স্থূলতার কারণ হতে পারে। তেমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৪ ১৪:৪৩
Mental stress causing obesity despite eating right

অবসাদে কিন্তু ওজন বাড়ে। ছবি: সংগৃহীত।

শুধু বাইরের খাবার খেলেই ওজন বা়ড়ে, এ ধারণা আংশিক সত্য। কিন্তু পুরোটা নয়। কারণ মোটা হয়ে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে আরও একটি কারণ। আর তা হল মানসিক অবসাদ। অত্যধিক চিন্তাভাবনা ডেকে আনছে ইনসমনিয়া, স্ট্রোক, ডায়াবিটিস, ক্যানসারের মতো মারাত্মক কিছু রোগের ঝুঁকি। সব নিয়ম মেনে চলেও ওজন বাড়তে থাকলে যত্ন নিতে হবে মনের। তেমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

মানসিক অবসাদ কী ভাবে দেহের ওজনের উপর প্রভাব ফেলে?

১) দীর্ঘ দিনের অবসাদ শরীরে কর্টিজল হরমোনের মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে তোলে। এই অতিরিক্ত কর্টিজল আবার অ্যান্টি-ডিউরেটিক হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত করে। এই ‘এডিএইচ’ হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে বিভিন্ন ভাবে জল জমতে থাকে। তাই ওজন কমতে চায় না সহজে।

২) আবার এই কর্টিজল হরমোনই কিন্তু থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা বিঘ্নিত করে। যার প্রভাব গিয়ে পড়ে আপনার বিপাকহারের উপর। তাই খাবার যতই কম খান, ওজন মোটেও কমতে চায় না।

Mental stress causing obesity despite eating right

দীর্ঘ দিনের অবসাদ শরীরে কর্টিজল হরমোনের মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে তোলে। ছবি: সংগৃহীত।

৩) বাড়তি কর্টিজলের প্রভাবে শরীরে বিভিন্ন খনিজের ঘাটতি দেখা যায়। বিশেষ করে শরীর থেকে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম কমে গেলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করার উপায় থাকে না। ইনসুলিনের মাত্রা বিঘ্নিত হলেও শরীরে মেদ জমে।

৪) শরীরে জমতে থাকা এই বাড়তি শর্করাই এক সময়ে মেদে পরিণত হয়। এই মেদ কিন্তু সহজে ঝরতে চায় না।

৫) কর্টিজল হরমোন আবার প্রোজেস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। অর্থাৎ, শরীরে ইস্ট্রোজেন তার প্রভাব খাটাতে শুরু করে। শরীরে অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন মেদ জমার ক্ষেত্রে অনুঘটকের মতো কাজ করে।

আরও পড়ুন
Advertisement