—প্রতীকী ছবি।
পড়াশোনা করতে প্রেমিকের সঙ্গে বিদেশে পাড়ি দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাড়ি থেকে রাজি হয়নি। তাই অপহরণের নাটক করে বাবার কাছ থেকে মুক্তিপণ বাবদ টাকা আদায় করার ছক কষেছিলেন মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা বছর কুড়ির তরুণী কাব্যা ধাকাড়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ওই তরুণীর পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। আপাতত পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে তরুণীকে।
সিনেমার পর্দায় এমন হয়েই থাকে। কিন্তু এই ঘটনা যেন সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে। কাব্যা মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তরুণীর প্রেমিকও একই পরীক্ষার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। দু’জনেরই ইচ্ছা ছিল দেশের বাইরে গিয়ে প়ড়াশোনা করার। কিন্তু তার জন্য যে বিপুল খরচ, তা দিতে রাজি ছিলেন না কাব্যার বাবা। আর তাই বাবার থেকে টাকা আদায় করতে অপহরণের পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন তিনি।
প্রতি সপ্তাহে মায়ের সঙ্গে শহরে কোচিং নিতে যেতেন কাব্যা। এ সপ্তাহেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু এ দিন কাব্যা তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন, বন্ধুর জন্মদিনের নিমন্ত্রণ আছে। রাতে সেখানেই থাকবেন সব বন্ধুরা মিলে। মা যেন বাড়ি ফিরে যান। মেয়ের কথা শুনে একা বাড়ি ফিরে যান কাব্যার মা। পরের দিন সকালেই কাব্যার বাবার কাছে খবর আসে যে, তাঁর মেয়েক অপহরণ করা হয়েছে। ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণেরও দাবি করা হয়। সঙ্গে কাব্যার একটি ছবিও পাঠানো হয়। যে ছবিতে দেখা যায় কাব্যাকে বেঁধে রাখা হয়েছে।
কাব্যার বাবা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের দ্বারস্থ হন। কিন্তু পুরো ঘটনাটি শোনার পর খটকা লাগে পুলিশের। প্রথমে কাব্যার কোচিং সেন্টারে গিয়ে হাজির হন তাঁরা। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যায়। সিসিটিভিতে কাব্যাকে তাঁর সঙ্গীর সঙ্গে দেখা যায়। সেই ফুটেজের সূত্র ধরেই কাব্যা এবং তাঁর সঙ্গীকে খুঁজে বার করা হয়।