শরীর বুঝে হালকা ব্যায়াম করা শুরু করতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত
এ বারের করোনা-স্ফীতিতে সংক্রমণের হার অনেক বেশি। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে মৃদু উপসর্গ নিয়ে বাড়িতেই কয়েকদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন সকলে। সর্দি-কাশি-হালকা জ্বর থাকছে প্রথম তিন-চার দিন। তারপর অনেকেই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। করোনা আক্রান্ত হলে বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকার মেয়াদও কেন্দ্র ১৪ থেকে কমিয়ে সাত দিনে করে দিয়েছে। তবে পাঁচ-সাত দিনে কি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন সকলে? না কি থেকে যাচ্ছে অনেকটা ক্লান্তি এবং দুর্বলতা? এমন পরিস্থিতিতে কি হালকা ব্যায়াম করলে শরীরের উপকরা হতে পারে?
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যেটা প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে, সেটা হল আপনার শরীর। যেহেতু রোগটা একেক জনকে একেক রকম ভাবে আক্রমণ করছে, তাই নিজের শরীর নিজেকেই বুঝে নিতে হবে। ধরুন আপনার আগের তুলনায় এখন শারীরিক সমস্যা কম। অনেকটাই সুস্থবোধ করছেন। কিন্তু আরও কিছুদিন নিভৃতে থাকতে হবে। অল্পতে ক্লান্তও হয়ে পড়ছেন। সে ক্ষেত্রে খুব হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। কিন্তু যদি ব্যায়াম করতে গিয়ে মনে হয়, শরীরের উপর চাপ বেশি পড়ছে, তাহলে কিছু দিন বিশ্রাম নিন। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে পারেন।
যদি চিকিৎসক অনুমতি দেন, যে আপনি দিনে কিছু ক্ষণ ব্যায়াম করতে পারেন, তা হলে কী ধরনের এক্সারসাইজ করলে উপকার পাবেন, জেনে নিন।
হাঁটা
বাড়ির মধ্যেই কিছু ক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে দেখে নিন কতটা হাঁপিয়ে যাচ্ছেন। যদি মনে হয় পারবেন, তা হলে স্পট ওয়াকিং বা এক জায়াগায় হাঁটতে পারেন। তবে সেটা ১০-১২ মিনিটের বেশি নয়।
সিটিং মার্চ
যদি দেখে হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে, তা হলে একটা চেয়ার বসুন। এক জায়গায় বসেই হাঁটার ভঙ্গিতে পা চালান। এটাকে বলে সিটিং মার্চ।
পায়ের পাতার ব্যায়াম
টিপ-টো এক্সারসাইজ বা পায়ের পাতার ব্যায়াম বসে বসেই করতে পারবেন। পায়ের পাতা টানটান করুন। গোল করে ঘোরান। প্রথম ডান ডিকে দিয়ে গোল করে, তারপর বাঁ দিক দিয়ে। পায়ের আঙুল টানটান করুন। দাঁড়িয়ে পায়ের আঙুলে উপর ভর দিয়ে উঁচুতে ওঠার চেষ্টা করুন। সিড়ির কয়েক ধাপ ওঠা-নামা (খুব বেশি নয়) করতে পারেন। সিড়ির ধাপে পা রেখে হাটু ভাজ করে পা স্ট্রেচ করার ব্যায়মগুলিও করে দেখে নিন আপনার কতটা অসুবিধা হচ্ছে।
স্ট্রেচিং
হালকা স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করতে পারেন। হাত, পা, হাটু, শরীরের উপর অংশ, শরীরের নীচের অংশ স্ট্রেচ হয়, এমন ধরনের সহজ ব্যায়াম করুন। হাত সামনের দিকে বা উপর দিকে তোলা-নামানোর ব্যায়মগুলো করতে পারেন। এতে বেশি ক্লান্তি আসবে না।
যোগ
যোগ শরীরে পাশাপাশি মনের সুস্থাতার জন্যেও কার্যকর। ১৫-২০ মিনিট সহজ কিছু আসন এবং নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের আসনগুলি করতে পারেন।