ত্বকের যত্নে কতটা উপকারি চালকুমড়োর রস। ছবি: ফ্রিপিক।
চালকুমড়োর কদর সব্জি হিসেবে হয়তো বাকিদের তুলনায় কম। তবে চালকুমড়োর রস যে স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী, সে কথা বার বারই বলেন পুষ্টিবিদেরা। বিশেষ করে চালকুমড়োর রস নিয়মিত খেলে ত্বক খুব ভাল থাকে। স্বাদের নিরিখে পছন্দ-অপছন্দ থাকতেই পারে। কিন্তু জানেন তো, চালকুমড়োর রসে জলীয় উপাদান থাকে প্রায় ৯৬ শতাংশ। তাই চালকুমড়োর রস খেলে শরীরে জলশূন্যতার সম্ভাবনা কমে। ত্বকও ভিতর থেকে সজীব ও আর্দ্র থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, চালকুমড়োর রসের উপকারিতা কী কী?
১) অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি-তে ভরপুর চালকুমড়োর রস ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
২) চালকুমড়োতে জলের ভাগ বেশি থাকায়, ত্বক আর্দ্র ও সতেজ থাকে।
৩) চড়া রোদে বেশি ক্ষণ থাকলে ত্বকে কালচে দাগছোপ পড়ে যায়। অনেক সময় র্যাশ, ব্রণ, ফুসকুরিও হয়। ত্বক চিকিৎসকেরা বলছেন, চালকুমড়োর রস নিয়মিত পান করলে ত্বকের দাগছোপ দূর হতে পারে। ব্রণের সমস্যা থাকলে তা-ও দূর হবে।
৪) চালকুমড়োর ভিটামিন সি ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। কোমল ও উজ্জল ত্বকের জন্য ভিটামিন সি-এর কোনও তুলনা নেই। ত্বকের যে কোনও সমস্যা সমাধানে এটি টনিকের মতো কাজ করে। ত্বকের শুষ্ক ভাব কমাতে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ভিটামিন সি।
৫) ত্বক পরিচর্যায় ‘কোলাজেন’ নামক প্রোটিনের ভূমিকা অপরিসীম। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে শরীরে কোলাজেনের ঘাটতি শুরু হয়। তা ছাড়াও অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, দূষণ, ধূমপানের অভ্যাস শরীরে এই প্রোটিন উৎপাদনের হার আরও কমিয়ে দেয়। ফলস্বরূপ, অকালেই চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে, চামড়া ঝুলে যায়, ত্বকের জেল্লা হারিয়ে যায়। এই সমস্ত সমস্যা দূর করতে পারে চালকুমড়োর রস।
চালকুমড়োর রস বানাবেন কী ভাবে?চালকুমড়ো ভাল করে ধুয়ে তার খোসা এবং বীজ ছাড়িয়ে নিয়ে নিন। ছোট ছোট টুকরো করে কেটে মিস্কিতে ব্লেন্ড করে নিন। এ বার একটি পরিষ্কার কাপড় নিয়ে চিপে রস বার করুন। যে রসটা বেরোবে তার সঙ্গে সঙ্গে ৬ চা চামচ মতো লেবুর রস, ৩ চা চামচ নুন এবং ৩ চা চামচ গোল মরিচ মেশান। চাইলে সামান্য মধুও ব্যবহার করতে পারেন।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। সকলের শরীর সমান নয়। খাওয়াদাওয়াতেও অনেক বিধিনিষেধ আছে। তাই চালকুমড়োর রস কারা খাবেন আর কারা নয়, তা পুষ্টিবিদের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল।