Road Accident

দেহরাদূনে ছয় বন্ধুর মৃত্যুর নেপথ্যে বেপরোয়া গাড়ির ‘রেস’! নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই সজোরে ট্রাকের মুখোমুখি

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তরুণদের ইনোভা গাড়িটি একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে আগে ধাওয়া করেছিল একটি বিএমডব্লিউ গাড়িকে। সেই সময় ইনোভার গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৩:২৩
ইনোভার গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

ইনোভার গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার। —প্রতীকী চিত্র।

দেহরাদূনে গাড়ি দুর্ঘটনায় ছয় তরুণের মৃত্যু হয়েছে। সকলেরই বয়স ২৫ বছরের কম। গত সোমবার মধ্যরাতের ওই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে বেপরোয়া গতির ‘রেস’। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তরুণদের ইনোভা গাড়িটি একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের আগে ধাওয়া করেছিল একটি বিএমডব্লিউ গাড়িকে। সেই সময় ইনোভার গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার। সজোরে ধাক্কা মারার ফলে ঘটনাস্থলেই ছয় জনের মৃ্ত্যু হয়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ইনোভায় সাত বন্ধু ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছয় জনই মারা গিয়েছেন। মৃতদের নাম কুণাল কুকরেজা (২৩), অতুল আগরওয়াল (২৪), ঋষভ জৈন (২৪), নব্য গোয়েল (২৩), গুনিত (১৯) এবং কামাক্ষী (২০)। মৃতদের মধ্যে কুণালের বাড়ি হিমাচলপ্রদেশে। বাকি পাঁচ জনের বাড়িই দেহরাদূনে। দুর্ঘটনায় বেঁচে গিয়েছেন একমাত্র সিদ্ধেশ আগওয়াল। তবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি। জানা গিয়েছে, নতুন গাড়ি কিনেছেন বলে সিদ্ধেশই বন্ধুদের ঘুরতে নিয়ে বেরিয়েছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রত্যেকেই মত্ত অবস্থায় ছিলেন দুর্ঘটনার সময়ে।

ঘণ্টায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে একটি বিএমডব্লিউ গাড়িতে ধাওয়া করার সময়েই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সিদ্ধেশদের ইনোভা। ওই গতিতে চালানোর সময় সামনে ট্রাক চলে এলেও নিজেদের গাড়িতে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি তাঁরা। দুর্ঘটনায় গাড়িটির উপরিভাগ (বনেট) ছিটকে পড়ে। গাড়ির মধ্যে থাকা দু’জনের মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় শরীর থেকে। বাকি চার জনের দেহাংশ গাড়ির ভিতরে আটকে পড়ে। গাড়ি গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে তাঁদের দেহ উদ্ধার করতে হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement