ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই রাতে হালকা খাবার খেয়ে থাকেন। ছবি: সংগৃহীত
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই রাতে হালকা খাবার খেয়ে থাকেন। রাতের খাবার সঠিক ভাবে হজম না হলে নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম ওজন বেড়ে যাওয়া। পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে কি না তা নির্ভর করে বিপাক ক্রিয়ার উপর। রোগা হতে চান এমন অনেকে তাই রাতে ভারী খাবার খান না। ভাত, রুটির পরিবরর্তে তাই ভরসা রাখেন পোহা, সুজি, উপমার মতো কিছু খাবারে। এটা ঠিক যে এই খাবারগুলি দ্রুত হজম হয়। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, দ্রুত হজম হয় চিনি এবং ময়দা জাতীয় খাবার। কিংবা যে খাবারগুলিতে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে। প্রোটিন ও ফাইবার থাকে না।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, হালকা খাবার শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকলে তখনই খাওয়া উচিত। সুস্থ অবস্থায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি যদি শরীরে না যায় তা হলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাতে পরিমাণে কম খাওয়াটা জরুরি। কিন্তু তা যেন স্বাস্থ্যকর হয়। রাতের খাবারে দালিয়া, পোহা, সুজির বদলে অনায়াসে ডাল, রুটি, সব্জি খেতেই পারেন। শাকসব্জি শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তির উৎস। তাই যদি দালিয়া বা সুজিও খান তা সব্জি দিয়ে বানাতে পারেন। ওজন কমানোর পাশাপাশি শরীর ভিতর থেকে সুস্থ রাখাটাও জরুরি। নিয়মিত স্যুপ বা তরল খাবার খাওয়ার প্রবণতা শরীর ভিতর থেকে দুর্বল করে তোলে। মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, কাজের গতি হারানোর মতো কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।