জিমে যাওয়ার আগে ডাবের জল খাবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।
বার পাঁচেক পুশ-আপ দেওয়ার পর মাটিতে গড়াগড়ি দেওয়ার উপক্রম হয়। তার পর আর কিছুই করার ক্ষমতা থাকে না। তাই জিমে যাওয়ার আগে ‘এনার্জি ড্রিঙ্ক’-এ চুমুক দেন অনেকেই। আবার স্মুদি বা নানা ধরনের শেক বানিয়েও খেয়ে থাকেন কেউ কেউ।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, শারীরিক কসরত করলে তো অতিরিক্ত ঘাম হয়, তাই দুর্বল লাগতে পারে। এর সমাধানে ‘এনার্জি ড্রিঙ্ক’ খাওয়া কিন্তু কাজের কথা নয়। স্মুদি বা শেকের মতো পানীয় আবার হজম করা কঠিন। তাই এই ধরনের পানীয় না খাওয়াই ভাল। অন্য দিকে, দীর্ঘ ক্লান্তি থেকে জিমের প্রতি অনীহা জন্মানোও অস্বাভাবিক নয়। তা হলে কী উপায়? পুষ্টিবিদ রাশি চহাল বলেন, “শরীরের কোনও ক্ষতি না করে তৎক্ষণাৎ শক্তির জোগান দিতে পারে ডাবের জল। তাই শরীরচর্চা করার আগে এই পানীয়টি খাওয়াই যায়।”
ডাবের জলে এমন কী কী উপাদান আছে?
১) পটাশিয়াম:
এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁদের শরীরচর্চা করার মুখ্য উদ্দেশ্য হল পেশিবহুল চেহারা তৈরি করা। অনেকেই হয়তো জানেন, পেশির গঠনে যেমন প্রোটিনের ভূমিকা রয়েছে, তেমনই পটাশিয়াম নামক খনিজটিরও গুরুত্ব রয়েছে। ডাবের জলে এই খনিজটি যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। এ ছাড়া শরীরে ফ্লুইডের সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই পটাশিয়াম।
২) সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম:
শরীরচর্চা করার সময়ে অতিরিক্ত ঘাম হয়। ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় বেশ কিছু খনিজ বেরিয়ে যায়। ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে। খনিজের অভাবে পেশিতে টানও ধরতে পারে। ডাবের জল খেলে এই ধরনের সমস্যা বশে রাখা যায়।
৩) কার্বোহাইড্রেট্স:
ডাবের জলে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। যে হেতু তা প্রাকৃতিক শর্করাজাত, তাই পরিমিত পরিমাণে খেলে শারীরিক কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
৪) কম ক্যালোরি:
বোতলবন্দি এনার্জি ড্রিঙ্কের তুলনায় ডাবের জলে ক্যালোরির পরিমাণ কম, এটি সহজপাচ্যও বটে। তাই শরীরচর্চা করার আগে এই ধরনের পানীয় খেলে ক্ষতি কিছু হবে না।
৫) প্রাকৃতিক চিনি:
চটজলদি ক্লান্তি কাটিয়ে শরীর চনমনে করে তুলতে পারে শর্করাজাতীয় পানীয়। তবে বাজার থেকে কেনা ‘এনার্জি ড্রিঙ্ক’-এ যে ধরনের শর্করা থাকে, তা কৃত্রিম রাসায়নিক দিয়ে তৈরি। কিন্তু ডাবের জলে যে ধরনের শর্করা রয়েছে, তা একেবারে প্রাকৃতিক। শরীরের জন্য এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ।