আপেলের রস খেলে কী হতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।
আপেলের রস এখন কমবয়সিদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। এমন অনেকেই আছেন যাঁরা পার্টিতে গিয়ে মদ্যপান করেন না, কিন্তু বদলে আপেলের রস বেছে নেন। বাড়িতে ছোটদেরও আপেলের রস খাওয়ান বাবা-মায়েরা। এখন বিভিন্ন রকম প্যাকেটজাত আপেলের রস পাওয়া যায়। পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত মনে করে আমরা এই প্যাকেটজাত আপেলের রস কিনে খাই। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, প্যাকেটজাত আপেলের রস মোটেই স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। বরং মদ্যপান করলে যতটা ক্ষতি হয় শরীরের, এ সব প্যাকেটজাত আপেলের রস নিয়মিত খেতে থাকলে ক্ষতি হয় ততটাই।
বাজারচলতি প্যাকেটজাত আপেলের রসে মাত্রাতিরিক্ত চিনি থাকে। এই চিনি শরীরের জন্য ভাল নয়। চিকিৎসকেদের মতে, অ্যালকোহলে ঠিক যতটা চিনির মাত্রা থাকে, প্যাকেটজাত আপেলের রসে ততটাই বা তার বেশি থাকে। রোজ যদি কেউ এই প্যাকেটজাত আপেলের রস খান বা বাড়ির ছোটদের খাওয়ান, তা হলে তা মদ্যপানেরই সমান ক্ষতি করবে।
এখনকার হেলথ ড্রিঙ্কগুলিও যে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর, তা বার বারই বলছেন পুষ্টিবিদেরা। বেশ কিছু হেলথ ড্রিঙ্ক নিষিদ্ধও করা হয়েছে। এর কারণই হল ওই সব হেলথ ড্রিঙ্কগুলিতে চিনির মাত্রা বিপজ্জনক। চিকিৎসকেদের মতে, দু’বছরের কম বয়সি শিশুদের খাদ্য তালিকায় কোনও রকম চিনি বা চিনি জাতীয় খাবার রাখা একেবারই উচিত নয়। এই বয়সে বেশি চিনি খেলে পরবর্তী কালে উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা এবং টাইপ-টু ডায়াবিটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও অধিক চিনি বিপদের কারণ। এর থেকে ওজন তো বাড়েই, লিভারের জটিল রোগ, লিভার সিরোসিস হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। আর লিভার সিরোসিসের শেষ পর্যায়ই হল লিভার ক্যানসার।
বাজারচলতি আপেলের রসে যে সব উপাদান থাকে, তা ক্যালোরি বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে পারে বলে দাবি চিকিৎসকেদের। মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আসক্তিও বাড়ে। পরবর্তী সময়ে গিয়ে যা খাই খাই বাতিক বা ‘বিঞ্জ ইটিং’-এর কারণ হয়ে ওঠে। গোটা আপেল খাওয়া যতটা পুষ্টিকর, বাজারচলতি আপেলের রস ততটা নয়। তাই সতর্ক থাকতেই বলছেন চিকিৎসকেরা।