Intermittent Fasting Benefits

কোভিড হওয়ার পর থেকেই সব ভুলে যাচ্ছেন? কোন ডায়েট মেনে চললে স্মৃতিশক্তি লোপের ঝুঁকি কমবে?

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং যে শুধু রোগা হতে সাহায্য করে, তা কিন্তু নয়। সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং অ্যালঝাইমার্সের ঝুঁকিও কমায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:১৯
Intermittent fasting may protect against Alzheimer’s, Parkinson’s diseases.

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং যে শুধু রোগা হতে সাহায্য করে না, অ্যালঝাইমার্সের ঝুঁকিও কমায়। ছবি: সংগৃহীত।

চটজলদি ওজন ঝরাতে ইদানীং অনেক তারকাই এখন ভরসা রাখছেন ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ ডায়েটের উপর। এই ডায়েটে খাবারের ক্ষেত্রে তেমন কড়া বিধিনিষেধ থাকে না। তবে দিনে ছয় থেকে আট ঘণ্টার মধ্যেই প্রয়োজনীয় খাবার খেয়ে ফেলতে হয়। আর বাকি সময়টা অর্থাৎ, ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা উপোস করেই কাটাতে হয়। তবে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং যে শুধু রোগা হতে সাহায্য করে, তা কিন্তু নয়। সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং অ্যালঝাইমার্সের ঝুঁকিও কমায়।

Advertisement

সামগ্রিক ভাবে স্মৃতিশক্তি লোপ, ভাবনাচিন্তার অসুবিধা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার অক্ষমতা ইত্যাদি একাধিক সমস্যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় ডিমেনশিয়া বলা হয়। সবচেয়ে বহুল ও দুরারোগ্য ডিমেনশিয়ার উদাহরণ হল অ্যালঝাইমার্স। বিশ্বজুড়েই ক্রমশ বাড়ছে এই রোগের প্রকোপ। এখনও পর্যন্ত অ্যালঝাইমার্স ঠেকানোর কোনও পথ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে নতুন এই গবেষণা অবশ্য খানিক আশার আলো দেখাচ্ছে।

‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’-এর ক্ষেত্রে খাবারের ধরন নিয়ে তেমন কড়া বিধি-নিষেধ থাকে না। তাই অনেকেই এই ডায়েটের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে বিপাকহার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে ক্যালোরিও কম যায়। গবেষকরা জানাচ্ছেন, শরীর যদি এই নিয়মে অভ্যস্ত হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে ওজন ঝরার পাশাপাশি মস্তিষ্কজনিত অ্যালঝাইমার্স রোগের আশঙ্কাও কমে যাবে।

অ্যালঝাইমার্স রোগের উৎস মস্তিষ্ক হলেও, এই রোগ ঠেকাতে দেহঘড়ি মেনে চলতে হবে। বিপাকহার, শক্তি, ঘুমের স্বাভাবিক চক্র, তা নির্ভর করে এই ঘড়ির উপর। এই ঘড়ি যদি ঠিক না থাকে, সে ক্ষেত্রে ওজন তো বা়ড়েই, একই সঙ্গে প্রভাব পড়ে স্নায়ুর উপরেও। দেহঘড়ির সময় মেনে যদি খাবার তালিকা প্রস্তুত করা যায়, সে ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

Intermittent fasting may protect against Alzheimer’s, Parkinson’s diseases.

‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’-এর ক্ষেত্রে খাবারের ধরন নিয়ে তেমন কড়া বিধি-নিষেধ থাকে না। ছবি: সংগৃহীত।

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্লেয়ার ব্রায়ান্ট বিভিন্ন রোগে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের ভূমিকা বোঝাতে চেয়ে‌ছেন তাঁর গবেষণার মাধ্যমে। বিশেষ করে ওবেসিটি, এথেরোস্ক্লেরোসিস, অ্যালঝাইমার্স এবং পারকিনসনের মতো রোগের ক্ষেত্রে ‘এএলআরপি৩’ এর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি গবেষণায়।

এই গবেষণায় ২১ জন স্বেচ্ছাসেবককে ৫০০ ক্যালোরির খাবার খাওয়ানোর পরে ২৪ ঘণ্টা উপোস করিয়ে রাখা হয়। এর পরে দেখা গিয়েছে যে ক্যালোরি সীমাবদ্ধতা প্রত্যেকের শরীরে অ্যারাকিডোনিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। পরীক্ষা করার সময় গবেষকরা দেখেন ইমিউন কোষগুলিতে থাকা অ্যারাকিডোনিক অ্যাসিড ‘এএলআরপি৩’ কার্যকারিতাকে হ্রাস করে প্রদাহের সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়। তাই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং-এর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবে অ্যালঝাইমার্স রোগের ঝুঁকি কমে।

আরও পড়ুন
Advertisement