জায়ফল কী ভাবে ব্যবহার করতে হবে? ছবি: সংগৃহীত।
‘নাট’ নয়, এ হল ‘নাটমেগ’! মানে জায়ফল।
দেখতে অনেকটা খোসা ছাড়ানো সুপুরির মতো। রোজের রান্নায় এই মশলার ব্যবহার খুব একটা দেখা যায় না। তবে বিরিয়ানি রাঁধতে গেলে কিন্তু মশলার তালিকায় জায়ফল ‘মাস্ট’। তবে রান্নায় মশলা হিসাবে দেওয়ার পাশাপাশি আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় হজমের গোলমাল, অবসাদ কিংবা উদ্বেগজনিত সমস্যা নিরাময়ে জায়ফল ব্যবহারের চল বহু পুরনো। এমনকি ব্যথা-বেদনা বশে রাখতেও জায়ফল নিঃসৃত তেল মাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। উগ্র গন্ধযুক্ত জায়ফলের তেল সুগন্ধি চিকিৎসাতেও কাজে লাগে।
২০২৩ সালে প্রকাশিত ‘রিসার্চগেট’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, মুখের ভিতরে কোনও প্রকার ঘা, ক্ষত সারাতে দারুণ কাজ করে জায়ফল। কী ভাবে? এক দিকে যেমন জায়ফলের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান মুখের ভিতর প্রদাহজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে, অন্য দিকে মুখের ভিতর ব্যাক্টেরিয়া, ফাঙ্গির বাড়বাড়ন্ত রুখে দিতে পারে এই মশলাটির অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ।
এখন মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, জায়ফল কি দাঁত, মাড়ি কিংবা মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে পারে? আয়ুর্বেদে উত্তরটা ইতিবাচক। শুধু মুখের ঘা নয়, দাঁত এবং মাড়ির কোনও সমস্যা থাকলে তা-ও সারিয়ে দেবে জায়ফল। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে মাউথওয়াশ লাগবে না। এক চিমটে জায়ফলেই কাজ হবে।
কিন্তু কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে এক চিমটে জায়ফল গুঁড়ো মিশিয়ে গার্গল করতে পারেন। ঠোঁটে, মুখগহ্বরের ভিতরের দিকের দেওয়ালে ঘা হলে ক্ষতস্থানে সরাসরি জায়ফল গুঁড়ো মাখিয়ে রাখতে পারেন। খাওয়াদাওয়ার পর এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জায়ফল মিশ্রিত জল দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতও ভাল থাকবে। মুখে দুর্গন্ধ হবে না।