Skipping Dinner for Weight Loss

দিনের বেলা অনেক কিছু খেয়ে ফেলেছেন! রাতের খাবারটা না খেলেও কি ওজন বাড়বে?

সারা দিনে অনেক বেশি খেয়ে ফেললে রাতে উপোস দেন। ওজন ঝরানোর এই চোরাগোপ্তা পন্থা বেশ ফলপ্রসূ বলেই মনে করেন অনেকে। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মত কী?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৫ ১৪:১৬
Skipping Dinner for Weight Loss

রাতে না খেয়ে ওজন ঝরানো ভাল? ছবি: সংগৃহীত।

ওজন ঝরাতে গেলে ক্যালোরি মেপে খেতে হবে। এই হল মোদ্দা কথা। কিন্তু খেতে যে বড্ড ভালবাসেন। চোখের সামনে ভালমন্দ দেখলে নিজেকে আটকাতে পারেন না, এমন মানুষের সংখ্যা তো কম নয়। তাঁরা কী করেন? সহজ হিসাব! সারা দিনে অনেক বেশি খেয়ে ফেললে রাতে উপোস দেন। তাতে কিছুটা হলেও ক্যালোরির পরিমাণে সমতা রাখা যায়। ওজন ঝরানোর এই চোরাগোপ্তা পন্থা বেশ ফলপ্রসূ বলেই মনে করেন অনেকে। কিন্তু পুষ্টিবিদেরাও কি এমনটাই মনে করেন?

Advertisement

পুষ্টিবিদদের কথায়, রাতের খাবার না খাওয়া এক ধরনের খারাপ অভ্যাসের মধ্যেই পড়ে। তাতে হয়তো ওজন কমে। এই পন্থা কিন্তু সামগ্রিক ভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। বেঙ্গালুরুর এক বেসরকারি হাসপাতালের পুষ্টিবিদ, চিকিৎসক কার্তিগাই সেলভি এ বলেন, “রাতে উপোস করলে রক্তে শর্করার মাত্রায় হেরফের হতে পারে। এমনকি কর্টিসল উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে যায়। যে কারণে বিপাকহারের গতি শ্লথ হয়ে পড়ে। ফলে দেহের আনাচকানাচে মেদ জমার পরিমাণ বেড়ে যায়।” রাতে না খাওয়ার অভ্যাস বিপাকহার সংক্রান্ত রোগে ভোগার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে। তার চেয়ে ভাল রাতে খাবার খাওয়ার সময়টা এগিয়ে নিয়ে আসা। তাতে কী সুবিধা হবে?

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রাতে একেবারে কিছু না খাওয়ার পরিবর্তে যথাসম্ভব হালকা খাবার খাওয়া যেতে পারে। ঘুমোনোর অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে খেয়ে নিতে পারলে হজম সংক্রান্ত সমস্যা হবে না। ঘুম ভাল হবে। সামগ্রিক ভাবে বিপাকহারও উন্নত হবে, যা সামগ্রিক ভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে।

Advertisement
আরও পড়ুন