Exercise

ঘুম থেকে ওঠার পরেও সারা গায়ে ব্যথা? বিছানায় আড়মোড়া না ভেঙে অভ্যাস করুন কটি চক্রাসন

পিঠ-কোমরের নমনীয়তা বজায় রাখতে, কোমর, নিতম্বের বাড়তি মেদ ঝরাতে এবং পেটের পেশি মজবুত করতে এই কটি চক্রাসন অত্যন্ত উপকারী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:০১
How to perform Kati Chakrasana and what are its benefits.

কী ভাবে করবেন কটি চক্রাসন? ছবি: সংগৃহীত।

সারা দিন হাড় ভাঙা পরিশ্রমের পর ঘুমোলে আর কোনও হুঁশ থাকে না। একেবারে মড়ার মতো পড়ে থাকেন। ঘড়ির অ্যালার্ম শুনে ঘুম ভাঙে। কিন্তু বিছানা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করে না। ঘুম ভাঙার পরেও মিনিট দশেক শুয়ে থাকতে হয়। সারা গায়ে এমন ব্যথা যে বার বার আড়মোড়া ভেঙেও আরাম মেলে না। সেই ব্যথা ক্রমাগত বাড়তে থাকে সারা দিন অফিসে করে। তবে নিয়মিত কটি চক্রাসন অভ্যাস করলে কিন্তু এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।

Advertisement

সংস্কৃতে ‘কটি’ শব্দের অর্থ হল কোমর এবং ‘চক্র’ অর্থাৎ বৃত্তাকারে আবর্তন। পিঠ-কোমরের নমনীয়তা বজায় রাখতে, কোমর, নিতম্বের বাড়তি মেদ ঝরাতে এবং পেটের পেশি মজবুত করতে এই আসন অত্যন্ত উপকারী। একটানা চেয়ার-টেবিলে বসে মেরুদণ্ডে ব্যথা হলেও আরাম দিতে পারে কটি চক্রাসন। পাশাপাশি, দেহের নিম্নাঙ্গের পেশি মজবুত হয় এবং হজমের সমস্যা থাকলে তা-ও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

How to perform Kati Chakrasana and what are its benefits.

নিয়মিত কটি চক্রাসন অভ্যাস করলে গায়ের ব্যথা কমতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।

কী ভাবে করবেন এই আসন?

১) ম্যাটের উপর সোজা হয়ে দুই পা ফাঁক করে দাঁড়ান। দুই পায়ের দুরত্ব যেন কাঁধ বরাবর হয়। হাত পাশে ঝুলিয়ে রাখুন। এ বার শরীর শিথিল করে দাঁড়ান। ধীরে ধীরে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন।

২) এ বার দেহের দু’পাশে দু’হাত, কাঁধ বরাবর সোজা করে ছড়িয়ে দিন। হাতের তালু যেন মেঝের দিকে থাকে।

৩) নিশ্বাস ছেড়ে ডান হাত ভাঁজ করে বাঁ কাঁধে রাখুন ও কোমর বাঁ দিকে ঘোরান। এই অবস্থায় বাঁ হাত কোমরে পিছন দিক থেকে ডান দিকে ঘুরিয়ে রাখুন।

How to perform Kati Chakrasana and what are its benefits.

দিনে ৫–৭ বার কটি চক্রাসন অভ্যাস করুন। ছবি: সংগৃহীত।

৪) এই অবস্থায় বাঁ কাঁধের দিকে তাকান। খেয়াল রাখবেন, পা যেন মাটি থেকে কোনও ভাবে উঠে না যায়। এই অবস্থায় কিছু ক্ষণ থাকুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন।

৫) এর পর শুরুর অবস্থায় ফিরে আসুন। অর্থাৎ, হাত কাঁধের পাশে ছড়িয়ে রাখুন।

৬) একই ভাবে ডান দিকে ঘুরে অভ্যেস করুন। অর্থাৎ, বাঁ হাত ডান কাঁধে রেখে ডান কোমরের পিছনে রেখে কোমর ঘোরান ও ডান কাঁধের দিকে চোখ রাখুন। খেয়াল করবেন যেন একসঙ্গেই আপনার ঘাড়ও ঘোরে। গোড়ালি যেন মাটিতে ঠেকে থাকে খেয়াল রাখতে হবে।

৭) দু’দিকে ঘোরার পর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। এই ভাবে একটি বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে। ৫–৭ বার অভ্যাস করুন।

আরও পড়ুন
Advertisement