গাছ থেকে টাটকা শাঁস খেলে সমস্যা হতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।
এক কাপ ঈষদুষ্ণ জলে ২ টেবিল চামচ আ্যালো ভেরা আর ২ টেবিল চামচ আমলকির রস মিশিয়ে খান। তবে অনেকের কাছেই শুনেছেন, দোকান থেকে কেনা এই রসগুলির মধ্যে কৃত্রিম চিনি, নানা রকম রাসায়নিক মেশানো থাকে। তাই মাঝেমধ্যে বাজার থেকে আমলকি কিনে, ধুয়ে কাঁচাই খেয়ে নেন। ছাদেও অ্যালো ভেরা গাছ রয়েছে। সেখান থেকে পাতা কেটে সরাসরি শাঁস খেলে কেমন হয়?
অভিজ্ঞরা বলছেন, গাছ সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে হিতে বিপরীত হতে পারে। অ্যালো ভেরা কিন্তু কাঁটাজাতীয় গাছ। তার বিভিন্ন প্রজাতিও রয়েছে। ভালমন্দ দু’ধরনের উপাদানই রয়েছে অ্যালো ভেরা গাছে। তাই দেখতে এক রকম হলেও সব ধরনের গাছের শাঁস কিন্তু খাওয়ার উপযোগী নয়।
অ্যালো ভেরার টাটকা শাঁস খাবেন কী ভাবে?
১) গাছের টাটকা পাতা কেটে নিয়ে জলে ভিজিয়ে রাখুন ঘণ্টাখানেক।
২) পাতার দু’ধারে কাঁটা থাকে। ছুরি দিয়ে তা কেটে পরিষ্কার করে নিন।
৩) এ বার পাতাটি আড়াআড়ি ভাবে কেটে ভিতর থেকে জেল বার করে নিন।
৪) এ বার মিক্সিতে ওই জেল ব্লেন্ড করে খেয়ে নিতে পারেন।
৫) চাইলে অ্যালো ভেরার ওই মিশ্রণে মধু, লেবুর রসও মিশিয়ে নিতে পারেন।
খাওয়ার আগে কী কী মাথায় রাখবেন?
১) আগে যদি অ্যালো ভেরা খাওয়ার অভ্যাস না থাকে, তা হলে খুব বেশি পরিমাণে তা না খাওয়াই ভাল। এক-দু’ চামচ করে খেতে শুরু করা যেতে পারে। ধীরে ধীরে তা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
২) অ্যালো ভেরার পাতা যত টাটকা হবে, পুষ্টিগুণ তত বেশি হবে। সুতরাং গাছ থেকে পাতা কেটে নিয়ে বেশি দিন ফেলে রাখা যাবে না।
৩) অ্যালো ভেরার পাতা কাটলে এক ধরনের তরল নিসৃত হয়। হলুদ রঙের ওই তরল আসলে এক ধরনের ‘ল্যাটেক্স’ বা আঠালো পদার্থ। ওইটি খেলে কিন্তু বিপদ হতে পারে।