Crime News

শিক্ষিকাদের শৌচাগারে ক্যামেরা বসিয়ে লাইভ স্ট্রিমিং! ‘স্পাইগিরি’ করে ধৃত নয়ডার স্কুলমালিক

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে স্কুলমালিক স্বীকার করেছেন, শিক্ষিকাদের শৌচাগারে ক্যামেরা বসিয়েছেন তিনিই। ২২ হাজার টাকা দিয়ে বিশেষ স্পাই ক্যামেরা কিনেছিলেন। তার ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ দেখতেন ঘরে বসে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:১২
Camera

শিক্ষিকাদের শৌচাগারে গোপন ক্যামেরা বসিয়ে ফুটেজ দেখতেন স্কুুলমালিক! গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

শিক্ষিকাদের শৌচাগারে স্পাই ক্যামেরা বসিয়ে ‘নজরদারি’র অভিযোগে গ্রেফতার হলেন স্কুলেরই মালিক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের নয়ডার সেক্টর ৭০ এলাকায়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১০ ডিসেম্বর স্কুলের শৌচাগারে গিয়ে একটি বাল্‌ব সকেটের দিকে নজর যায় এক শিক্ষিকার। সেখান থেকে ক্ষীণ আলো আসছিল। কৌতূহলের বশে তিনি জিনিসটি হাতে নিয়ে আবিষ্কার করেন, তাতে একটি ছোট্ট ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তিনি স্কুলের নিরাপত্তারক্ষীকে জানান। ওই নিরাপত্তারক্ষীও নিশ্চিত করেন জিনিসটি ক্যামেরা। এর পর ওই শিক্ষিকা যান স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু তাঁর অভিযোগ শোনার পরেও স্কুলের ডিরেক্টর নবনীশ সহায় এবং কো-অর্ডিনেটর পারুল কোনও পদক্ষেপ করেননি বলে অভিযোগ। উল্টে তাঁরা দু’-একটা কথা শুনিয়ে দেন শিক্ষিকাকে।

আর কোনও রাস্তা না-দেখে সোজা থানায় যান ওই শিক্ষিকা। নয়ডা (সেন্ট্রাল) ডিসিপি শক্তিমোহন অবস্তি সঙ্গে সঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেন। তার পরেই সামনে আসে স্কুলের ডিরেক্টর নবনীশের কর্মকাণ্ডের কথা। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে স্কুলমালিক স্বীকার করেছেন, শিক্ষিকাদের শৌচাগারে ক্যামেরা বসিয়েছেন তিনিই। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ২২ হাজার টাকা দিয়ে স্পাই ক্যামেরা কিনেছিলেন। বিশেষ ওই ক্যামেরাটি একটি বাল্‌ব হোল্ডারের সঙ্গে সংযুক্ত। এক বার নজর দিয়ে বোঝাই দায় যে সেটায় একটা ক্যামেরাও আছে। নবনীশ ওই ক্যামেরা দিয়ে লাইভ স্ট্রিমিং ফুটেজ সংগ্রহ করতেন। শিক্ষিকাদের শৌচাগারে গেলে তার দৃশ্য দেখতেন মোবাইল এবং ল্যাপটপে। স্কুলমালিকের ওই স্বীকারোক্তি শোনার পর কার্যত থ হয়ে যান তদন্তকারীরাও। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।

অভিযোগকারিণীর দাবি, এ বারই প্রথম নয়, এর আগেও স্কুলের শৌচাগারে একটি ছোট ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। সে বারও তিনি ক্যামেরাটি খুলে স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু তখনও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকি কোথা থেকে ওই ক্যামেরা এল, কে ক্যামেরাটি বসালেন, তার কোনও খোঁজই নেননি কর্তৃপক্ষ। তাই এ বার সোজা থানায় গিয়েছিলেন বলে জানান শিক্ষিকা। বিনোদ নামে স্কুলের নিরাপত্তারক্ষীর দাবি, স্কুলমালিক নিজেই ওই ক্যামেরা বসিয়েছিলেন। তাঁরা কেউ কিচ্ছু জানতেন না। যদিও ওই নিরাপত্তারক্ষীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। আপাতত তদন্তপ্রক্রিয়া শেষ না-হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।

Advertisement
আরও পড়ুন