(বাঁ দিকে) মহম্মদ শামি। রোহিত শর্মা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ় শুরু হওয়ার পরে জানা গিয়েছিল, শেষ দু’টি টেস্টের আগে সে দেশে পৌঁছে যাবেন মহম্মদ শামি। কিন্তু কয়েক দিন আগে বিজয় হজারে ট্রফিতে বাংলা দলে শামিকে রাখার পর পরিষ্কার হয়ে যায় যে অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছেন না পেসার। তা হলে কি শামি পুরো ফিট নন? কেন তাঁকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো হল না? এই সব প্রশ্নে অ্যাডিলেডের পর বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রোহিত শর্মা। ব্রিসবেনের পর বিতর্ক এড়াতে চাইলেন তিনি। শামির ফিটনেসের বিষয় চিকিৎসকদের উপর চাপালেন রোহিত।
শামি কতটা ফিট সে বিষয়ে তাঁর থেকে ভাল জবাব জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির চিকিৎসকেরা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন রোহিত। ভারত অধিনায়ক বলেন, “আমার মনে হয় এ বার জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি থেকে কাউকে জবাব দেওয়া উচিত। শামি ওখানেই রিহ্যাব করছে। তাই ও কতটা ফিট সেটা ওখানকার চিকিৎসকেরাই বলতে পারবে। আমি জানি ও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছে। কিন্তু এটাও শুনেছি, ওর হাঁটুতে এখনও সামান্য সমস্যা আছে। আমি চাই না, এখানে খেলতে এসে সিরিজ়ের মাঝপথে কোনও ক্রিকেটার বাদ যাক।”
কোনও ক্রিকেটারকে নিয়েই ঝুঁকি নিতে চাইছেন না রোহিত। সেই কারণেই হয়তো শামিকে পাঠানো হচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া। ভারত অধিনায়ক বলেন, “আমরা ১০০ নয়, ২০০ শতাংশ নিশ্চিত হওয়ার পরেই কাউকে দলে নিতে পারি। কাউকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইছি না। আমি আগের সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলাম যে, দরজা সকলের জন্য় খোলা। যদি জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে সুস্থ হয়ে ওরা দলে ঢুকতে পারে তা হলে আমার থেকে খুশি কেউ হবে না।”
অ্যাডিলেড টেস্টের পরেও রোহিত জানিয়েছিলেন যে, শামিকে নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তাঁরা। তার পরেই জানা গিয়েছিল পুরনো এক কথা। বেঙ্গালুরুতে ভারত বনাম নিউ জ়িল্যান্ড প্রথম টেস্টের সময় নাকি দলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন শামি। তখনও বাংলার হয়ে খেলতে নামেননি। সেই সময়েই রোহিতের সঙ্গে তাঁর উত্তপ্ত বাদানুবাদ হয়েছে বলে দাবি করেছিল এক সংবাদপত্র। তাদের দাবি, বাংলার পেসারের ফিটনেস নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন রোহিত। প্রথম টেস্টের আগে রোহিতের সঙ্গে দেখা করেছিলেন শামি। তখনই অধিনায়কের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। রোহিতের মন্তব্যে শামি খুশি হতে পারেননি বলে দাবি করা হয়। সেই কারণেই হয়তো এ বার বিতর্ক এড়াতে চাইলেন ভারত অধিনায়ক।