পুজোয় মিষ্টির সঙ্গে আপস নয়! ছবি: সংগৃহীত।
উৎসবের মরসুম শুরু মানেই দেদার খাওয়াদাওয়ার পর্ব শুরু। বিরিয়ানি, চাইনিজ, ভাজাভুজি, মিষ্টিমুখ। তবে ডায়াবেটিকদের এই সময়ে রক্তের শর্করার মাত্রা বজায় রাখা ভীষণ জরুরি। একটু অনিয়ম হলেই বিপদ! দুর্গাপুজোয় মিষ্টিমুখ না করলে কি আর পুজো পুজো ভাব আসে? তাই ওই ক’দিন ডায়েটে একটু অনিয়ম হয়েই থাকে। চেষ্টা করেও মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাসে লাগাম টানতে পারছেন না? কী ভাবে রোজের ডায়েট থেকে চিনি বাদ দেবেন, রইল তার হদিস।
১) পুজোর দিনে মিষ্টি খাওয়া হবেই, তাই চা ও কফিতে চিনি এবং ক্রিম-সহ দুধ মেশানো পুরোপুরি বন্ধ করে দিন। ভেষজ চা খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে, আর শর্করার মাত্রাও।
২) রোজের রান্নায় চিনি দেওয়া বন্ধ করুন। অনেকে রান্নায় চিনির বদলে গুড় ব্যবহার করেন। ডায়াবেটিকদের রান্নায় গুড় দিলেও সমান ক্ষতি হয়। তাই চিনির পরিবর্তে গুড় দেওয়াও বন্ধ করুন। ব্রাউন সুগার, চিনির বিকল্প কৃত্রিম মিষ্টি, কর্ন সিরাপ, ম্যাপেল সিরাপ, মধু, গুঁড়ো দুধ— সবেতেই চিনি থাকে। তাই এই সব খাওয়া একেবারে বন্ধ করতে হবে।
৩) প্যাকেটজাত ফলের রস নয়, পরিবর্তে বাড়িতে ফলের রস বানিয়ে খান। খুব ভাল হয় যদি গোটা ফল খেতে পারেন। খিদে পেলে ভাজাভুজির বদলে ফল, ড্রাইফ্রুটস খান।
৪) বাজার থেকে সস্ কেনার সময় খেয়াল করুন যাতে তার মধ্যে অতিরিক্ত চিনি না থাকে। ঘরোয়া রান্নায় সস্ ব্যবহার না করলেই ভাল হয়। উৎসবের দিনে বাইরে খেলেও অতিরিক্ত সস্ খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
৫) ডায়েটে বেশি করে প্রোটিনজাতীয় খাবার রাখুন। প্রোটিন খেলে ভুলভাল খাওয়ার ইচ্ছা কম হয়। বাড়ি থেকে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার সময়ে খেয়ে বেরোন। তা হলে বাইরে খাওয়ার প্রবণতা কমবে।
৬) খুব বেশি মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে খেজুর, কিশমিশ অল্প পরিমাণে খেতে পারেন।
৭) পুজোয় ঠাকুর দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে গেলে ঠান্ডা নরম পানীয় নয়, খেতে হবে ডাবের জল, ফলের রস।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। ডায়াবিটিসের রোগীরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ নিন।