সাদা বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার। —ফাইল চিত্র।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তান ম্যাচ বয়কট করবে না ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট উত্তাল হয় এই ম্যাচ নিয়ে। ১৬০ জন সাংসদ ইসিবি-কে আবেদন করেছিল ম্যাচ বয়কট করার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা হচ্ছে না। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ম্যাচ বাতিল করতে রাজি নয়।
আফগানিস্তানে এখন তালিবদের শাসন। যে কারণে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে তাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ না খেলার আবেদন করেছিলেন ১৬০ জন ব্রিটিশ সাংসদ। কিন্তু ইসিবি মনে করে একটি ম্যাচ বয়কট করে কোনও প্রতিবাদ করা সম্ভব হবে না। ইসিবি-র প্রধান আধিকারিক রিচার্ড গোল্ড বলেন, “আফগানিস্তানে মহিলদের উপর তালিবান যে অত্যাচার করছে, ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড সেটার তীব্র প্রতিবাদ জানায়। আইসিসি-র নিয়ম অনুযায়ী, কুলীন টেস্ট খেলিয়ে দেশ হলে মহিলাদের ক্রিকেটের উন্নতি করতে হবে। ইংল্যান্ড বার বার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ় এড়িয়ে গিয়েছে। চাইব আইসিসি এই বিষয় ব্যবস্থা নিক।”
তালিবান প্রশাসন মহিলাদের মানবাধিকার খর্ব করছে। এই ইস্যুতে সম্প্রতি উত্তাল হয় ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অধিবেশন। সে দেশের সাংসদদের একাংশ চান, তালিবান প্রশাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিক ইসিবি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ বয়কট করা উচিত। পার্লামেন্টের দুই কক্ষ হাউস অফ কমন্স এবং হাউস অফ লর্ডসের তরফে সরকারি ভাবে বিবৃতি দিয়েছে।
ইসিবির সিইও গোল্ডের কাছে আর্জি জানিয়ে বলা হয়েছে, “তালিবানের অধীনে আফগানিস্তানে মহিলাদের প্রতি যে ভয়াবহ আচরণ করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার জন্য আমরা ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার এবং ক্রিকেট কর্তাদের আহ্বান জানাচ্ছি। ইসিবিকে আমাদের অনুরোধ, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে আসন্ন ম্যাচটি বয়কট করা হোক। এই ধরনের জঘন্য আচরণ বরদাস্ত করা যায় না। আফগানিস্তানকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া প্রয়োজন। আমাদের অবশ্যই লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত। আফগান মহিলাদের সহমর্মিতার বার্তা দেওয়ার অনুরোধ করছি ইসিবিকে। আশা করি, আফগান মহিলাদের আমরা নিরাশ করব না।” উল্লেখ্য, মহিলাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ় খেলে না অস্ট্রেলিয়া।
১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হওয়ার কথা। আফগানিস্তান এবং ইংল্যান্ড একই গ্রুপে রয়েছে। দুই দলের মধ্যে ম্যাচ রয়েছে ২৬ ফেব্রুয়ারি। ওই গ্রুপে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়াও।