Milk Consumption

দুধ কখন ও কতটা খেলে উপকার হবে? প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে হিসাব মিলিয়ে নিন

দুধ কোন সময় খাচ্ছেন এবং কতটুকু, তা জানা জরুরি। সময় ধরে ও পরিমাপ মতো দুধ খেলে তবেই তা শরীরের উপকারে লাগবে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৫২
How much milk do adults need a day

দিনে কতটা দুধ খাওয়া স্বাস্থ্যকর? ছবি: ফ্রিপিক।

দুধকে সুষম খাবারের তালিকাতেই রাখেন পুষ্টিবিদেরা। সদ‍্যোজাত শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ, দুধ সকলের জন্যই উপকারী। যদি না দুধে অ্যালার্জি থাকে অথবা দুধ খেলে অম্বল হয়। এই বিষয়ে পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী বলেন, “দুধ কোন সময় খাচ্ছেন এবং কতটুকু, তা জানা জরুরি। যেমন অনেকেই দুধ সকালে খেয়ে ফেলেন, তার পরেও গলা-বুক জ্বালা শুরু হয়। যাঁদের অম্বলের ধাত, তাঁদের সকালে দুধ না খাওয়াই ভাল। বরং খেতে হবে রাতে। সে ক্ষেত্রে ঠান্ডা দুধ খেলেই উপকার বেশি পাওয়া যাবে।” তাঁর মতে, শিশুদের জন্য আবার দুধ খাওয়ার আদর্শ সময় হল সকালবেলা। তবে রাতে ঘুমোনোর আগে দুধ খেলে অনিদ্রার সমস্যা যেমন দূর হয়, তেমনই শরীর অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে পারে।

Advertisement

ক‍্যালশিয়াম, ফসফরাস, ভিটটামিন, পটাশিয়াম, ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ দুধ তখনই শরীরের উপকারে লাগবে যখন তা সঠিক সময়ে ও যথাযথ পরিমাণে খাওয়া হবে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এমনটাই দাবি করেছেন। ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন’ বিজ্ঞানপত্রিকায় এই বিষয়ে রিপোর্টও ছাপা হয়েছে। বিজ্ঞানী ওয়াল্টার উইলেটের মত, এক জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী বা পুরুষ দিনে যদি পরিমাপ মতো দুধ খান, তা হলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি তো হবেই না, বিবিধ শারীরিক সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে। ভারতের মতো দেশের হিসেবে, এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা দিনে ২-৩ কাপ দুধ খেতেই পারেন, তবে তার বেশি নয়। এক জন পুরুষ সেখানে ৩-৪ কাপ দুধ খেতে পারেন। তবে যদি দুগ্ধজাত দ্রব্য, যেমন পনির, ছানাও খান, তা হলে দিনে ২ কাপের বেশি দুধ খাওয়া যাবে না।

শিশুদের ক্ষেত্রে এই পরিমাপ আলাদা। ১২ থেকে ২৪ মাসের শিশু দিনে ২-৩ কাপ দুধ খেতে পারে। ২ থেকে ৫ বছরের শিশু দিনে দুই থেকে আড়াই কাপের বেশি দুধ খাবে না। আবার ৫ থেকে ৮ বছর বয়সের শিশুরাও দিনে আড়াই কাপের মতো দুধ খেতে পারে। ৯ বছরের উপরে দিনে তিন কাপের মতো দুধ খাওয়া যেতেই পারে। যদি গরুর দুধে অ্যালার্জি থাকে, তা হলে উদ্ভিদজাত দুধ খাওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম, ওট্‌স, নারকেল ও সয়াবিন থেকে এই দুধ পাওয়া যায়। আমন্ড মিল্ক, কোকোনাট মিল্ক, ওট্‌ মিল্ক এবং সয়া মিল্ক সবচেয়ে পরিচিত। প্রাণিজ দুধের বিকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া যেতে পারে এই দুধ। তবে শিশুদের দুধ খাওয়ানোর আগে দেখে নিতে হবে, তারা দুধ হজম করতে পারছে কি না। যদি দুধ খেলেই বমি ভাব আসে অথবা অম্বলের সমস্যা দেখা দেয়, তা হলে দুধ না খাওয়াই ভাল।

আরও পড়ুন
Advertisement