Dengue

শুধু বর্ষা নয়, গরমের সঙ্গেও ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার যোগ রয়েছে, জানাচ্ছে গবেষণা

ডেঙ্গির প্রকোপ এবং তার ভয়াবহতা সম্পর্কে একটা আন্দাজ পাওয়া গেলে আগে থেকে সেই সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা যেতে পারে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২৩ ১২:৩৬
Image of mosquito

— প্রতীকী চিত্র।

বর্ষার জমা জল মশার বংশবৃদ্ধির পক্ষে সহায়ক। তাই এই সময়ে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, শুধু বর্ষাকাল নয়। গরম বাড়লেই ডেঙ্গির প্রকোপ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। এই তথ্যটি ‘ফেডারেশেন অফ আমেরিকান সোসাইটি ফর এক্সপেরিমেন্টাল বায়োলজি’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। কেরলের রাজীব গান্ধী সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি (আরজিসিবি)-র একদল গবেষক জানাচ্ছেন, আবহাওয়ায় তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করলে ডেঙ্গি ভাইরাসটি আরও ভয়ানক হয়ে ওঠে। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্ব জুড়ে প্রতি বছর ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রায় ৩৯ কোটি মানুষ।

Advertisement

গবেষকেরা বলছেন, ডেঙ্গির প্রকোপ এবং তার ভয়াবহতা সম্পর্কে একটা আন্দাজ পাওয়া গেলে আগে থেকে সেই সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা যাবে বলে বিজ্ঞানীরা আশা প্রকাশ করেছেন। গবেষকদের প্রধান ঈশ্বরন শ্রীকুমারের মতে, “ডেঙ্গি মশাবাহিত রোগ। এই মশার দেহকোষের মধ্যে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। মশার দেহের তাপমাত্রা নির্দিষ্ট নয়। আবহাওয়ার তাপমাত্রার পরিপ্রেক্ষিতে তা ওঠানামা করে।”

এই গবেষণা প্রাথমিক ভাবে একটি ইঁদুর মডেলের উপর করা দেখা হয়। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় থাকা ডেঙ্গি ভাইরাসের একটি স্ট্রেন, ইঁদুরের রক্তে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। কয়েক দিন পর দেখা যায়, ইঁদুরের শরীরে থাকা বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেমন হার্ট, লিভার, কিডনির টিস্যু মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ। যার ফলে ক্রমশ মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে ইঁদুরটিকে। চিকিৎসকদের মতে, “ডেঙ্গির মতো রোগ ঠেকিয়ে রাখার একেবারে প্রাথমিক উপায় হল মশার বংশবিস্তার করতে না দেওয়া। বাড়ির আশপাশে কোথাও জল জমতে না দেওয়া।”

আরও পড়ুন
Advertisement