Screen Time and Children

এক বছরও হয়নি, শিশুর হাতে মোবাইল ধরিয়ে দিয়েছেন? কী ক্ষতি করছেন, জানাচ্ছে গবেষণা

এক বছরের কমবয়সি শিশুরা যদি সারা দিনে ১ থেকে ৪ ঘণ্টা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকে, তাদের বুদ্ধির বিকাশ ঘটতে অনেক দেরি হয়। কথা শিখতেও সমস্যা হয় অনেক শিশুর।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
টোকিও শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২৩ ১২:১৪
Image of Baby.

— প্রতীকী চিত্র।

ইউটিউবের ভিডিয়ো বা ইনস্টাগ্রামে চলতে থাকা একের পর এক রিল শিশুর হাতে ধরিয়ে দিয়ে বাড়ির কাজ সামাল দেন অনেক অভিভাবকই। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, কয়েক মাসের শিশুর হাতে দীর্ঘ ক্ষণ মোবাইল থাকা এবং চোখের সামনে নানা রকম জিনিস দেখার অভ্যাস, তাদের মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তথ্যটি জামা পেডিয়াট্রিক্‌স পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এক বছরের কমবয়সি শিশুরা যদি সারা দিনে ১ থেকে ৪ ঘণ্টা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকে, তাদের বুদ্ধির বিকাশ ঘটতে অনেক দেরি হয়। কথা শিখতেও সমস্যা হয় অনেক শিশুর।

Advertisement

এক বছর বা তার কমবয়সি শিশুরা সারা দিন কতটা সময় মোবাইল বা এই ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রের পিছনে ব্যয় করে, সেই সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা চালানো চার বছর ধরে। ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত জাপানে ৭ হাজারেরও বেশি শিশু এবং তাদের মায়েরা এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ওই শিশুদের গতিবিধির উপর লক্ষ রাখার জন্যে তাদের মায়েদের নিযুক্ত করেন গবেষকেরা। ওই শিশুদের বয়স যখন বছর দুয়েক, তখন থেকেই তারা নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে শুরু করে বলেই প্রাথমিক ভাবে অভিভাবকেরা জানান।

দেখা যায়, যে সব শিশু দিনে ৪ ঘণ্টারও বেশি সময় মোবাইল দেখে কাটিয়েছে, তাদের মধ্যে মস্তিষ্কের মোটর সংক্রান্ত সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, ছোট ছোট সমস্যার সমাধান করতে, সাধারণ কিছু বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্নের উত্তর দিতেও সমস্যা হচ্ছে। গবেষকেরা বলছেন, বাচ্চাদের বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতে এবং তাদের মস্তিষ্কের সমস্ত অংশের কাজ সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্যে হাতে মোবাইলের প্রতি আসক্তি কমিয়ে, শারীরিক সক্রিয়তার উপর জোর দেওয়া বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। পাশাপাশি বেড়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম এবং পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়ারও প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন
Advertisement