Sinus

শীতকালে সাইনাসের সমস্যা নিয়ে ভয়ে থাকেন? ঘরোয়া উপায়ে সুস্থ থাকবেন কী ভাবে?

শীতকাল মানেই সাইনাসের হানা। অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন। জলদি সুস্থ হতে কোন টোটকাগুলি মেনে চলবেন?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২২ ১৮:৫৫
শীতকাল পড়তেই মানুষ ঠান্ডাজনিত নানা সমস্যায় আক্রান্ত হন।

শীতকাল পড়তেই মানুষ ঠান্ডাজনিত নানা সমস্যায় আক্রান্ত হন। প্রতীকী ছবি।

ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে ধীরে ধীরে। এই মরসুমে সর্দি-কাশিতে ভুগতে থাকেন অনেকেই। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ার যে পরিবর্তন ঘটে, তুলনায় মানুষের শরীর ওই পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার সঙ্গে ততটা সামঞ্জস্য গ়ড়ে তুলতে পারে না। ফলে যে কোনও ঋতুবদলের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরে নানা রোগ-ব্যধি দেখা দেয়। তেমন শীতকাল পড়তেই মানুষ ঠান্ডাজনিত নানা সমস্যায় আক্রান্ত হন। সর্দি, কাশি, জ্বর, ঘন ঘন হাঁচি পড়া তো লেগেই থাকে। সেই সঙ্গে বাড়ে সাইনাসের সমস্যাও।

প্রবল মাথা যন্ত্রণা, সারা ক্ষণ নাক জ্বালা এবং বন্ধ হয়ে থাকা, মাথায় ভার হয়ে থাকা— সাইনাসের এই উপসর্গগুলি নিয়ে নাজেহাল থাকেন। সারা বছরই সাইনাসের সংক্রমণ হতে পারে। কিন্তু শীতকালে ঠান্ডা লেগে এর সমস্যা বাড়তে পারে। তাই অতিরিক্ত সাবধান হওয়া দরকার। নাক থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে সাইনাসে। ঠান্ডা লাগলে এই সংক্রমণের মাত্রা বাড়তে পারে। কিছু সতর্কতা মেনে চলা জরুরি। সাইনাস থেকে বাঁচতে কোনও মতেই ঠান্ডা লাগানো যাবে না। এখন থেকেই ফুলহাতা পোশাক পরা শুরু করুন। আইসক্রিম, ঠান্ডা কোনও পানীয় বেশি খাবেন না। এত সতর্কতা মানা সত্ত্বেও যদি সাইনাস হানা দেয়, সে ক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায়ে সুস্থ থাকবেন কী ভাবে?

Advertisement
সঙ্গে বাড়ে সাইনাসের সমস্যাও।

সঙ্গে বাড়ে সাইনাসের সমস্যাও। প্রতীকী ছবি।

১) সাইনাস থেকে স্বস্তি পেতে গরমজলে ভাপ নিতে পারেন। এতে বন্ধ নাক খুলে যায়। সাইনাস সংক্রমণের ঝুঁকিও অনেকটা কম থাকে। দরকারে জলে মিশিয়ে নিতে পারেন লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচ। দিনে ৩-৪ বার এই ভাপ নিলে সাইনাসের সমস্যা অনেকটা দূরে থাকবে।

২) জলে ১ চামচ হলুদ, সামান্য গোলমরিচের গুঁড়ো এবং রসুনের ৪-৫টি কোয়া মিশিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। ইচ্ছা হলে মিশ্রণটিতে মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। সকাল-বিকাল এই পানীয় পান করলে অনেকটা সুস্থ থাকা যাবে।

৩) সাইনাসের সমস্যা দূরে রাখতে আরও একটি টোটকা খুব কার্যকর হতে পারে। আদা এবং হলুদ একসঙ্গে বেটে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নাকে এবং কপালে আলতো করে ওই মিশ্রণটির প্রলেপ লাগিয়ে নিন। উপকার পাবেন।

৪) সাইনাসের সমস্যা দেখা দিলে সব কিছু গরম করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। গরম চা থেকে শুরু করে গরম খাবার, সবই সাহায্য করে। সারা দিনে বেশ কয়েক বার চা খেতে পারেন। গরম পানীয় ভিতরে গেলে জমে থাকা শ্লেষ্মা বাইরে বেরিয়ে আসবে। তাতে শরীর আর্দ্র থাকবে।

৫) পুদিনায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিভাইরাল উপাদান। যা সাইনাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ থাকতে বানিয়ে নিতে পারেন পুদিনার চা। অ্যালার্জি, সর্দি, কাশির চিকিৎসার সমস্যাতেও এই চা দারুণ কার্যকরী।

আরও পড়ুন
Advertisement