কোনও ক্রনিক অসুখ না থাকলে সাধারণত কি়ডনির যত্ন নেওয়া খুব কঠিন কাজ নয়। ছবি: সংগৃহীত
শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল কিডনি। সুস্থ থাকতে কিডনিকে অবহেলা করলে চলবে না। নয়তো শরীরে নানা জটিলতা বাসা বাঁধতে পারে। বড় কোনও শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আগে তাই সতর্ক থাকা জরুরি। কোনও ক্রনিক অসুখ না থাকলে সাধারণত কি়ডনির যত্ন নেওয়া খুব কঠিন কাজ নয়। ছোটখাটো কিছু যত্নেই সুস্থ রাখা যায় কিডনিকে। কর্মব্যস্ততার কারণে অনেকেই আলাদা করে নিজের যত্ন নেওয়ার সুযোগ পান না। আর তাতেই বাড়ে বিপত্তি।
কোন কোন সাধারণ অভ্যাসেই দূরে থাকে কিডনির নানা সমস্যা?
১) পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। সাধারণত যে কোনও সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ৩-৪ লিটার জলের প্রয়োজন হয়। তাই শরীরের প্রয়োজন কতটুকু, সেই পরামর্শ নিয়ে রাখুন চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের কাছ থেকে। সেই অনুপাতে জল খান। শরীরের যাবতীয় টক্সিন বাইরে বার করে দিতে জলই প্রধানত সাহায্য করে। তাই জলের জোগান কিডনি যত পাবে, তার শারীরবৃত্তীয় কাজে তত সুবিধা হবে।
২) কিডনি সংক্রমণের অন্যতম কারণ হল প্রস্রাব চেপে রাখা। সাধারণত রাস্তাঘাটে বা অনেক সময় কাজের চাপে বাড়িতে থাকলেও অনেকেই প্রস্রাবের বেগ চেপে রাখেন। এই অভ্যাস দিনের পর দিন ঘটালে কিন্তু বিপদ। এর ফলে মূত্রনালীতে চাপ পড়ে, তাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিডনি। শরীরের বেশি ক্ষণ প্রস্রাব ধরে রাখার ফলে কিডনির শারীরবৃত্তীয় কাজ সারতে সমস্যা হয় ও দীর্ঘ সময় ধরে টক্সিন ধরে রাখায় শরীরে সংক্রমণ ঘটে।
৩) উচ্চমাত্রায় ডায়াবিটিস সরাসরি কিডনির ক্ষতি করে। তাই সব সময় চেষ্টা করুন ডায়াবিটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে। রক্তে শর্করার পরিমাণ কোনও ভাবেই বাড়তে দেওয়া যাবে না। কিডনি ভাল রাখতে ডায়াবিটিস প্রতিরোধ প্রয়োজন।
৪) মুঠো মুঠো ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকে অনেকেরই। অতিরিক্ত মাত্রায় এই ধরনের ওষুধ কিন্তু কিডনির নানা সমস্যা তৈরি করে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ভাবেই কোনও রকম অ্যান্টিবায়োটিক বা বেদনানাশক ওষুধ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।