দুধের সঙ্গে ঘি, এই পানীয়েই জব্দ হবে রোগবালাই। ছবি: সংগৃহীত।
হাড়ের ক্ষয় রুখতে পুষ্টিবিদেরা ডায়েটে দুধ আর ঘি রাখার কথা বার বারই বলেন। এ ছাড়াও ঘি এবং গরুর দুধ পৃথক ভাবে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সকলেই ওয়াকিবহাল। কিন্তু জানেন কি, দুধের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খাওয়া কতটা উপকারী? শুনতে অবাক লাগছে তো? আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়, দুধের সঙ্গে ঘি খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। রাতে ঘি-সহ দুধ খেলে সুফল মেলে আরও বেশি।
দুধের মধ্যে রয়েছে ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়ামের মতো খনিজ। পাশাপাশি, ভিটামিন এ, ডি, বি-৬, ই, কে-র মতো উপাদান রয়েছে দুধে। অন্য দিকে, দুধ থেকেই তৈরি করা হয় ঘি। যার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে। স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের অন্যতম একটি বিকল্প হল ঘি। জেনে নিন, এই দুই উপাদান একসঙ্গে মিশলে শরীরের কোন কোন উপকারে লাগতে পারে?
১) ঘি মেশানো দুধ হজমে সহায়ক এনজ়াইমের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে। বিপাকক্রিয়ার হার বেড়ে যায় এবং পাচনতন্ত্রকেও শক্তিশালী করে। অন্ত্রের টক্সিন পরিষ্কার করে। দুধের সঙ্গে ঘিয়ের মিশ্রণ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে।
২) গাঁটের ব্যথা কমাতে বেশ উপকারী এই পানীয়। ঘি-তে থাকা ভিটামিন কে-২ হাড়কে দুধের ক্যালশিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে। ফলে হাড় শক্তিশালী হয়। বয়স হলে নিয়মিত এই পানীয় খাওয়া যেতে পারে।
৩) মানসিক চাপের কারণে অনেকের রাতের পর রাত ঘুম হয় না। ঘি মেশানো এক কাপ দুধ আপনার স্নায়ুকে শান্ত করে, ফলে চটজলদি ঘুম আসে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতেও এই পানীয় বেশ উপকারী।
৪) ঘি এবং দুধ, উভয়েই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। ত্বক উজ্জ্বল করতে দুই উপাদানেরই জুড়ি নেই। দূষণ এবং মানসিক ক্লান্তির কারণে অনেক সময় ত্বক নিস্তেজ দেখায়। রাতে দুধ এবং ঘি খেলে তা ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ায়। জেল্লা ফিরিয়ে আনতেও সাহায্য করে।
৫) নিয়মিত ঘি-সহ দুধ খাওয়া যৌনজীবনের পক্ষেও ভাল। এটি বীর্য উৎপাদনের সঙ্গে যৌনশক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও ক্রনিক অসুখ থাকলে এই পানীয় খাবার আগে অবশ্যই চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।