কফিতে ঘি মিশিয়ে খেলে কী কী উপকার হবে শরীরের? ছবি: সংগৃহীত।
কফির সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলেই নাকি মেদ ঝরে দ্রুত। এক কাপ জলে এক চামচ ঘি আর ১ চামচ কফি মিশিয়ে তৈরি করা হয় এই পানীয়। শুনতে অবাক লাগলেও, জাহ্নবী কপূর, ভূমি পেড়নেকর, শিল্পা শেট্টির মতো বলিউডের অভিনেত্রীরা কিন্তু দিনের শুরুটা করেন এই পানীয় দিয়েই। দিনের শুরুতেই এই কফিতে চুমুক দিলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে ও খিদে কম পায়। ঘিয়ে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমাতেও সাহায্য করে। দিনের শুরুটা এই পানীয় দিয়ে করলে ওজন বাগে থাকে। শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেই নয়, এই পানীয় কিন্তু ত্বকের জন্যও বেশ উপকারী। জেনে নিন, কী কী কারণে এই পানীয়ে চুমুক দিয়ে দিন শুরু করবেন।
১) সারা বছর ধরে যাঁরা গ্যাস-অম্বল বদহজমের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা এই পানীয় নিয়মিত খেতে পারেন। এই পানীয় খেলে হজম ভাল হয়, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। পেটের কথা ভেবে নিয়মিত পান করতে পারেন এই পানীয়।
২) সারা বছর ধরে গাঁটের যন্ত্রণায় নাজেহাল? বাতের ব্যথা থাকলে কিংবা হাঁটু, কোমরে ব্যথা হলে এই পানীয়ের উপর ভরসা রাখতে পারেন। উপকার মিলবে। দেশি ঘি ব্যথা উপশমে দারুণ কাজে আসে।
৩) এই পানীয় রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সকাল সকাল এই পানীয় দিয়ে দিন শুরু করলে শরীরে রক্তের শর্করার ভারসাম্য ঠিক থাকে, শরীরে স্ফূর্তি আসে।
৪) রোজ সকালে এক চামচ ঘি খেলে ত্বকের জেল্লা বজায় থাকে। গরমে এমনিতেই শরীরে জলের ঘাটতি হয়, ত্বক শুষ্ক দেখায়। ঘি কফি দিয়ে দিন শুরু করলে ত্বক টান টান হবে, উজ্জ্বল দেখাবে।
৫) ঘিয়ে থাকে ভিটামিন এ, ডি, কে-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই সব উপাদান চুলের জন্যেও বেশ উপকারী। চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এই ভিটামিনগুলি।
পরিমিত মাত্রায় ঘি খাওয়া স্বাস্থ্যকর। তবে মাত্রা বেশি হয়ে গেলেই কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই সতর্ক হয়ে খেলে তবেই হাতেনাতে ফল পাবেন।