তাই প্রাতরাশের তালিকায় এমন কিছু রাখবেন না যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। ছবি সংগৃহীত
অনেকেই দিনের প্রথম খাবার খান ১২টার সময়ে। সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা বা তাড়াতাড়ি অফিসে যাওয়ার কারণে অনেকেই প্রতরাশ অবহেলা করেন। ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস জল কিন্তু অনেক শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। সেই জলটুকুও খেতে ভুলে যান অনেকে।
এ ভাবেই চলতে থাকলে শরীর যেমন খারাপ হওয়া নিশ্চিত। বাড়তে পারে ওজনও। বিশেষ করে ডায়াবিটিস রোগীদের ক্ষেত্রে কিন্তু প্রতরাশ এড়িয়ে যাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। ঘুম থেকে উঠে অনেক ক্ষণ খালি পেটে থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। তা ছাড়া কী খাচ্ছেন সেটাও কিন্তু সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। খাবারের মাধ্যমেই শরীরের প্রতিটি কোষে গ্লুকোজ সরবরাহ হয়। তাই প্রাতরাশের তালিকায় এমন কিছু রাখবেন না যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিতে পারে।
ডায়াবিটিসের রোগীরা প্রাতরাশে কী খাবেন আর কী খাবেন না?
১) অনেকেই জলখাবারে রুটি কিংবা পাউরুটি খেতে বেশি পছন্দ করেন। ডায়াবিটিসের রোগীরা প্রাতরাশে কার্বহাইড্রেট একেবারেই কম খান। আলু, ময়দা কিংবা ভাত প্রাতরাশে রাখবেন না। এটি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রাকে আরও বা়ড়িয়ে দেয়।
২) সুগারের সমস্যা থাকলে সকালের জলখাবারে ফাইবার থাকা খুবই জরুরি। প্রাতরাশে ফাইবার যুক্ত খাবার খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভর্তি থাকে, পাশাপাশি রক্তে শর্কারার মাত্রাও বাড়ে না। কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে। সকালের জলখাবারে ওটস রাখতেই পারেন। এর মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন সাত থেকে দশ গ্রাম ফাইবার।
৩) প্রাতরাশ কিন্তু রঙিন হওয়া উচিত। রঙিন সব্জি-ফলের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে অনেক বেশি। এক বাটি পেঁপে, পেয়ারা, আপেল, বেদানা, সবেদা সব একসঙ্গে মিশিয়ে ফ্রুট স্যালাড বানিয়ে খেতেই পারেন। এ ছাড়াও সুইট কর্ন, মাশরুম সিদ্ধ করে তাতে শশা, টম্যাটো, পেঁয়াজ কুচি, সামান্য মাখন আর গোলমরিচের গুঁড়ো ছড়িয়ে খেতে পারেন।
৪) এ ক্ষেত্রে প্রতরাশে বেশি মাত্রায় প্রোটিন রাখুন। চিকেন দিয়ে স্যালাড বানিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়াও ডিম বেশ উপকারী। প্রোটিন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবিটিস থাকে নিয়ন্ত্রণে।