Dehydration

Dehydration: জল কম খাচ্ছেন? শরীরের যে সব লক্ষণ জানান দেবে সে কথা

শরীরে দৈনন্দিন জলের যে চাহিদা, তা পূরণ না হলে হাজারও শারীরিক সমস্যা দেখা যায়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:২৩
শরীরে জলের অভাব হলে, শরীর নিজে থেকেই সেই সঙ্কেত দেয়।

শরীরে জলের অভাব হলে, শরীর নিজে থেকেই সেই সঙ্কেত দেয়। ছবি সংগৃহীত

শীতের মরসুমে জল খেতে অনেকেরই অনীহা। সারা দিনের কাজের চাপে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খেতেও ভুলে যান অনেকে। শরীরে সত্তর শতাংশেরও বেশি জল। জলের মাধ্যমেই শরীরের অভ্যন্তরে বেশির ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়। শরীরে দৈনন্দিন জলের যে চাহিদা, তা পূরণ না হলে হাজারও শারীরিক সমস্যা দেখা যায়।

জল শুধু শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখে তাই নয়, পরিপাকতন্ত্র ও শ্বাসতন্ত্রকে সুসংগঠিত রাখতেও জলের কোনও তুলনা নেই।

Advertisement

শরীরে জলের অভাব হলে, শরীর নিজে থেকেই সেই সঙ্কেত দেয়। সেই লক্ষণগুলি চিনতে পারলেই বোঝা যাবে যে এখন শরীরে জলের অভাব মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে।

কী কী উপসর্গ বলে দেবে যে আপনার শরীরে জলের অভাব হচ্ছে

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

১) শরীরে জলের অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। হঠাৎ করে ত্বক রুক্ষ বোধ করতে শুরু করলে এবং ত্বকে ব্রণ ও চুলকানির সমস্যা দেখা দিলে বুঝতে হবে শরীরে জলের ঘাটতি রয়েছে।

২) যদি হঠাত্ প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রেও বুঝতে হবে শরীরে জলের অভাব রয়েছে। এ ছাড়াও শরীরে জলের ঘাটতির কারণে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় এবং প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বোধ হয়।

৩) জলের অভাবে শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি মুখে দুর্গন্ধও হয়। জল মুখে পর্যাপ্ত পরিমাণে লালা উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। যা নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াগুলি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

৪) ডিহাইড্রেশন অবস্থায় বারবার তৃষ্ণা অনুভব হয়। বার বার জল খেলেও শরীরে জল জমা থাকতে পারে না। সাধারণ জলের পরিবর্তে লেবু-জল বা ইলেকট্রল দ্রবণযুক্ত জল পান করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় খুব বেশি খিদেও পায়।

৫) শরীরে জলের অভাব হলে অনেক সময় নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা দেখা যায়। এর ফলে কোনও কারণ ছাড়াই হঠাত্ মনে আতঙ্ক জাগে বা মাথাব্যথাও হতে পারে। এ ছাড়া সারা ক্ষণ আলস্য ও ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও হতে পারে শরীরে জলের ঘাটতির কারণে।

৬) জলের অভাবে শরীরে রক্তের পরিমাণও কমে যায়, তাই সমস্ত অঙ্গে পর্যাপ্ত রক্ত পৌঁছে দিতে হৃদ্‌যন্ত্রকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হয়। ফলে হৃদ্‌যন্ত্র উপর চাপ পড়ে। হঠাত্ করে হৃদ্‌স্পন্দন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন
Advertisement