ক্যাপসিকাম ভাল, না বেল পেপার? ছবি: সংগৃহীত।
বিদেশি স্যালাড, সাধারণ তরকারি বা চিনে খাবার, আজকাল সবেতেই ক্যাপসিকাম দেওয়া হয়। এই সব্জির গন্ধই সাধারণ খাবারকে অসাধারণ করে তোলে। ক্যাপসিকাম তো সবুজ। লাল, হলুদগুলি বেল পেপার। শুধুমাত্র দেখতে সুন্দর লাগে বলে বাজার থেকে এই সব্জিগুলি কিনে ফেলেন অনেকে। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ক্যাপসিকাম, বেল পেপারের আলাদা আলাদা পুষ্টিগুণ রয়েছে। তিনটিই ভাল। তবে পুষ্টিগুণ বিচার করলে লাল রঙের বেল পেপার উৎকৃষ্ট। জেনে নিন, সবুজ ক্যাপসিকাম বা লাল-হলুদ বেল পেপারে প্রয়োজনীয় কোন কোন উপাদান রয়েছে।
ক্যাপসিকাম খেলে কী উপকার হবে?
চিনা থেকে বাঙালি, প্রায় সব পদেই ক্যাপসিকাম দেওয়ার চল রয়েছে। এই সব্জিতে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে মজবুত করে। এ ছাড়া ক্যাপসিকামে রয়েছে ভিটামিন কে এবং এ। এই দু’টি ভিটামিন হার্ট, চোখ এবং ত্বকের জন্য ভাল। সবুজ ক্যাপসিকামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, যা পেশির সঙ্কোচন-প্রসারণে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ভিটামিন এ ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ায়, দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
হলুদ বেল পেপার খেলে কী উপকার হবে?
বাজারে অন্যান্য সব্জির মধ্যে এইটি বেশ জনপ্রিয় তার উজ্জ্বল হলুদ রঙের জন্য। হলুদ বেল পেপারে রয়েছে ভিটামিন সি, এ এবং বি৬। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য এই সমস্ত উপাদান জরুরি। এ ছাড়া দৃষ্টি, মস্তিষ্কের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেও সাহায্য করে। এই সব্জিতে রয়েছে পটাশিয়াম, ফোলেটের মতো খনিজ। হার্ট ভাল রাখার পাশাপাশি শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম পরিচালনা করতে এই সব খনিজের প্রয়োজন। সবুজ ক্যাপসিকামের তুলনায় হলুদ বেল পেপারে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ দ্বিগুণ। তবে, বিটা ক্যারোটিন বা ভিটামিন এ-র পরিমাণ সবুজ ক্যাপসিকামের এক তৃতীয়াংশ।
লাল বেল পেপার কেন খাবেন?
সবুজ, হলুদের সঙ্গে লাল বেল পেপারের মিশেল খাবারে অন্য মাত্রা এনে দেয়। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই সব্জিটি ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনে বিশেষ ভাবে সহায়তা করে। ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকায় ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা, দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখার পাশাপাশি ক্যানসার প্রতিরোধেও এই সব্জির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সবুজ ক্যাপসিকামের তুলনায় এতে ১১ গুণ বেশি বিটা ক্যারোটিন, দেড় গুণ বেশি ভিটামিন-সি ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন-এ রয়েছে।