একটা বয়সের পর কিছু খাবার খাওয়ায় রাশ টানা জরুরি। প্রতীকী ছবি।
বছর ৫৪-এর ইন্দ্রাণী বসু। পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। বয়সজনিত কারণে নানা রোগ ইতিমধ্যেই শরীরের বাসা বাঁধতে শুরু করেছে। ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল তো আছেই, সেই সঙ্গে প্রতি মাসে হঠাৎ করেই ওজন বেড়ে যাচ্ছে। অথচ ওজন বেড়ে যাওয়ার তেমন কোনও কারণ নেই। বাইরের খাবার একেবারেই খান না। বাড়ির রান্নাও প্রায় তেল-মশলাহীন। তা সত্ত্বেও ওজন বেড়ে যাওয়ায় বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। চিকিৎসকের সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে তিনি জানান, মূলত খাওয়াদাওয়ার কারণেই এমনটি হচ্ছে। একটা বয়সের পর কিছু খাবার খাওয়ায় রাশ টানা জরুরি। নয়তো সমস্যা হতে পারে।
এমন সমস্যা নতুন নয়। বয়স ৫০ পেরিয়ে যাওয়ার পর ওজন বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যার মুখোমুখি অনেকেই হন। বয়স বাড়লে হজমক্ষমতা এমনিতেই কমে যায়। তাই ইচ্ছামতো সব কিছু খাওয়া যায় না। কোন খাবারগুলি বয়সকালে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে?
পনির
হাড়ের যত্ন নিতে দুগ্ধজাতীয় খাবারের জুড়ি মেলা ভার। একটা বয়সের পর চিকিৎসকরা রোজের পাতে এই ধরনের খাবার রাখার কথা বলে থাকেন। অনেকেই রোজ রাতে এক গ্লাস গরম দুধ কিংবা দুধ রুটি খান। শরীরের জন্য দুধ উপকারী। তবে প্রতি দিন খেলে খানিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বিকল্প হিসাবে বেছে নিতে পারেন পনির। এই খাবারে থাকা প্রোটিন ভিতর থেকে শরীরের যত্ন নেয়।
বাদাম
মাঝেমাঝে মুখ চালাতে বাদাম, বিভিন্ন ধরনের শস্যের উপর ভরসা রাখতে পারেন। এতে পেটের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হবে। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা একটি গবেষণা জানাচ্ছে, আখরোট, কাঠবাদাম, চিয়া বীজের মতো খাবারে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যেগুলি যত্ন নেয় শরীরের। ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
সামুদ্রিক খাবার
বয়স বাড়লে শরীরে স্বাস্থ্যকর উপাদানের ঘাটতি তৈরি হতে থাকে। সেগুলি পূরণ করতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াটা জরুরি। শরীরের একটি অপরিহার্য উপাদান হল ভিটামিন বি১২। সামুদ্রিক মাছে এই ভিটামিন ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। এ ছাড়াও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে এই মাছে। হজমশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের আরও অনেক সমস্যা দূর করতে সামুদ্রিক মাছ এবং খাবার খেতে পারেন।
টকজাতীয় ফল
সাইট্রাস জাতীয় ফলে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন সি থাকে। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা— সবেতেই সিদ্ধহস্ত এই ধরনের ফলগুলি। বয়স বাড়লে শুধু নয়, লেবু, আমলকি, স্ট্রবেরি, কিউয়ির মতো ফল সব বয়সেই খাওয়া জরুরি।