অনেকেই বুঝতে পারেন ওটস্, ডালিয়া ছাড়া ডায়েটের তালিকায় আর কী রাখা যেতে পারে। প্রতীকী ছবি।
অফিস, বাড়ির কাজ সব সামলে ডায়েট করা কিন্তু বেশ ঝামেলার। বাড়িতে থাকলে তা-ও ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নানা রকম রান্না করে খাওয়া যায়। কিন্তু অফিসে চলে গেলে ডায়েট মেনে খাবার খাওয়াটা বেশ কঠিন। ডায়েট উপযুক্ত রান্না করা বেশ ঝক্কির। রোগা হওয়ার পর্বে তো সব কিছু খাওয়া যায় না। অনেক নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করতে হয়। নয়তো ওজন হাতের মুঠোয় রাখা মুশকিল। ডায়েট চলাকালীন কী খাচ্ছেন সেটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই বুঝতে পারেন ওটস্, ডালিয়া ছাড়া ডায়েটের তালিকায় আর কী রাখা যেতে পারে। রইল তেমন কিছু খাবারের তালিকা। যেগুলি এক দিকে স্বাদের যত্ন নেবে, অন্য দিকে খেয়াল রাখবে শরীরেরও।
ফল
ওজন ঝরানোর পর্বে ফল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। রোগা হওয়ার এর চেয়ে কোনও সহজ উপায় নেই। ডায়েট চলাকালীন যে খাবারই খান সঙ্গে একটি ফল খেতে ভুলবেন না। সারা দিন যদি খুব ভারী কোনও খাবার খাওয়ার সুযোগ না-ও পান, সে ক্ষেত্রে ভরসা রাখতে পারেন তরতাজা টাটকা ফলে। নানা রকম স্বাস্থ্যকর উপাদান-সমৃদ্ধ ফল শরীরের জন্য দারুণ উপকারী।
টোস্ট এবং অমলেট
রোগা হবেন বলে ডায়েট করছেন। এ দিকে বিকেল হতেই মুখরোচক খাবার খেতে ইচ্ছা করে। ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে বাইরের খাবার খাওয়ারও উপায় নেই। এই সময় কিন্তু আপনার ভরসা হতে পারে টোস্ট আর অমলেট। এই খাবারটি যে শুধু সকালের পাতে থাকবে, তার কোনও মানে নেই। গোলমরিচ গুঁড়ো ছড়ানো ডিমের অমলেট আর টোস্টে কামড় বসালে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই।
অঙ্কুরিত ছোলা মাখা
ডায়েটের তালিকায় অনায়াসে রাখতে পারেন এই খাবারটি। টক, ঝাল, মিষ্টি স্বাদের এই খাবার একঘেয়ে স্বাদে খানিকটা বদল আনবে। অফিসের টিফিনেও নিয়ে যেতে পারেন। তবে তার জন্য আগের দিন রাতে ছোলা ভিজিয়ে রাখুন। তার পর বিটনুন, লঙ্কা, শসা আর পেঁয়াজকুচি, টম্যাটো দিয়ে ছোলা মেখে নিন। চাইলে পাতিলেবুর রসও ছড়িয়ে দিতে পারেন। খেতে ভাল লাগবে।
দই
ওজন ঝরাবেন অথচ পাতে দই রাখবেন না, তা হয় না। নিয়ম করে খেলে তো ভাল, তা যদি সম্ভব না হয় তা হলে মাঝেমাঝেই দই খেতে পারেন। ওজন ঝরবে সহজেই। আবার ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। নিশ্চিন্তে রোজের পাতে রাখতে পারেন টক দই।