রোজের জীবনে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা লেগেই রয়েছে। প্রতীকী ছবি।
শীতকাল মানেই বাজার জুড়ে নানা রকম সব্জির সমারোহ। রংবেরঙের নানা রকম সব্জিতে বাজার ছেয়ে যায় এই সময়। বাজারফেরত অনেকের ব্যাগেই উঁকি মারছে পেঁয়াজকলি, পালং শাক, ফুলকপির মতো মরসুমি কিছু সবুজ শাকসব্জি। শীতকালীন সব্জির তালিকায় বেশ জনপ্রিয় হল বাঁধাকপি। খিচুড়ির সঙ্গে বাঁধাকপির যুগলবন্দি অনেকেরই প্রিয়। তবে গ্যাস-অম্বলের ভয়ে আবার অনেকেই শীতকালে বাঁধাকপি এড়িয়ে চলেন। যত্ন নিয়ে রান্না করলে খিচুড়ি স্বাদের পাশাপাশি শরীর ভাল রাখতেও সমান ভাবে সাহায্য করে। শীতকালে নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতেই থাকে। বাঁধাকপি মরসুমি সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও হরেক রকম পুষ্টিগুণ-সমৃদ্ধ বাঁধাকপি আরও নানা শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে।
বাঁধাকপিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, ফসফরাস ও সোডিয়াম। এই তিনটি পদার্থ হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। এ ছাড়াও ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি ও কে সমৃদ্ধ বাঁধাকপি হাড়কে মজবুত রাখতে সাহায্য করে। যাঁরা নিয়মিত খাদ্যতালিকায় বাঁধাকপি রাখেন, বার্ধক্যজনিত হাড়ের সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তাঁদের ক্ষেত্রে কম থাকে।
বাঁধাকপিতে খুবই সামান্য পরিমাণে কোলেস্টেরল ও ফ্যাট রয়েছে। প্রচুর পরিমাণে ফাইবারও আছে। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা খাদ্যতালিকায় অনায়াসে রাখতে পারেন বাঁধাকপি। বিশেষ করে স্যালাডে রাখতে পারেন। স্যালাডে বাঁধাকপি থাকলে ক্যালরি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
আলসার প্রতিরোধে বাঁধাকপি অত্যন্ত সহায়ক। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, বাঁধাকপির রস আলসারে আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করবে।
শীতকালে ভাইরাসজনিত বিভিন্ন সংক্রমণের কারণে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দেয়। মরসুমি এই রোগের সঙ্গে লড়তে অস্ত্র হতে পারে বাঁধাকপি। ভিটামিন সি ও নানাখনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ বাঁধাকপি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
বাঁধাকপি পিত্তাশয়কে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। পিত্তাশয়কে আরও কার্যকরী করে তোলে বাঁধাকপি। এতে রয়েছে ভিটামিন, ফাইবার ও ফলিক অ্যাসিড। বাঁধাকপি শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।