সি-ফুড কী ভাবে সংরক্ষণ করবেন, নিয়ম না জেনে রান্না করলেও সমস্যা হতে পারে। ছবি: ফ্রিপিক।
সামুদ্রিক মাছ, কাঁকড়া খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। সি-ফুড খেতে যেমন ভাল লাগে, তেমনই সঠিক ভাবে রান্না না করলে তা পেটে গিয়ে বিষক্রিয়ার কারণও হতে পারে। অনেক সময়েই দেখা যায়, সি-ফুড থেকে অ্যালার্জি হচ্ছে অথবা অন্ত্রে সংক্রমণ হচ্ছে। এর জন্য কিন্তু সঠিক ভাবে সংরক্ষণ না করা এবং রন্ধন প্রণালীও অনেকটাই দায়ী।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সি-ফুড বেশি খেয়ে ফেললে অম্বল, বদহজম, ডায়রিয়া হতে পারে। হঠাৎ গাদা গাদা সামুদ্রিক মাছ খেতে শুরু করলে তা হজম হতেও সমস্যা হবে। বেশির ভাগ সময়েই দেখা যায়, বাজারে যে সব সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হয় সেগুলি দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য পিউরিন মেশানো হয়। এই রাসায়নিক শরীরে গেলে রক্তচাপের হেরফের হতে পারে, হৃদ্রোগের আশঙ্কাও বাড়তে পারে।
সি-ফুড মানে কিন্তু কেবল সামুদ্রিক মাছ নয়, এর মধ্যে চিংড়ি, কাঁকড়া, স্কুইড, অক্টোপাস, ঝিনুক ইত্যাদিও পড়ছে। এখন হেটোল-রেস্তোরাঁয় গিয়ে অনেকেই সি-ফুড অর্ডার করে খান। এইসব প্রাণীর শরীরে অনেক সময়েই সীসা, ক্যাডমিয়ামের মতো ভারী ধাতু থাকে যা হার্টের জন্য খুবই খারাপ। তা ছাড়া সামুদ্রিক মাছ ও অন্যান্য প্রাণীর শরীরে নানা রকম পরজীবী জন্মায়। সেগুলি দীর্ঘ দিন শরীরে ঢুকতে থাকলে স্নায়ু ও মস্তিষ্কের নানা রোগও হতে পারে। বাজার থেকে কিনে এনে সঠিক ভাবে সংরক্ষণ না করলে অন্ত্রে বিষক্রিয়ার কারণও হতে পারে।
সি-ফুড কী ভাবে সংরক্ষণ করলে সমস্যা হবে না?
১) বাজার থেকে সামুদ্রিক মাছ কিনে আনার পর বেশি ক্ষণ ফেলে রাখবেন না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মাছটিকে পরিষ্কার করে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন।
২) যদি ফ্রোজেন সি-ফুড কেনেন, তা হলে খেয়াল রাখতে হবে সেগুলি যেন ভাল ভাল ভাবে সংরক্ষণ করা হয়। ৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নীচে রেখে দেওয়া সি-ফুডই কিনুন। কেনার আগে মোড়ক ভাল করে দেখে নিন। বাড়িতে এনে সেগুলিকে দ্রুত সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুন।
৩) বাজার থেকে কাঁচা সামুদ্রিক মাছ কেনার সময় ভাল ভাবে দেখে নিতে হবে টাটকা কি না। দীর্ঘ দিন বরফে চাপা মাছ স্বাস্থ্যকর নয়।
৪) রান্না করা খাবারের পাশে কাঁচা সামুদ্রিক মাছ অথবা চিংড়ি, কাঁকড়া রাখবেন না। এতে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। সবসময়েই সি-ফুড আলাদা জায়গায় রাখতে হবে।
৫) কাঁচা ও টাটকা সামুদ্রিক মাছ ভাল রাখার জন্য সেলোফোন র্যাপ করে বা বায়ুনিরুদ্ধ পাত্রে রেখে তবেই ফ্রিজে রাখুন।