অবশ্যই মাস্ক পরুন। ছবি: সংগৃহীত
বছরের শেষ দিকে হঠাৎ করেই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দেশে তো বটেই, বাদ যায়নি রাজ্যেও। আগের বছরের মাঝামাঝি সময়ে পরিস্থিতি খানিক স্বাভাবিক হয়েছিল। ফের সংক্রমণের হার বাড়ছে ধীরে ধীরে। অনেকেই মনে করছেন, টিকা নেওয়া আছে মানেই আর সুরক্ষার দরকার পড়বে না। এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভ্রান্ত। করোনার দু'টি টিকাই নেওয়া আছে, এমন ব্যক্তিও কিন্তু আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই সুস্থ থাকতে দরকার বাড়তি সতর্কতার।
ভিড় এড়িয়ে চলুন
করোনা থেকে বাঁচতে সবার আগে ভিড় এড়িয়ে চলুন। কারণ উপসর্গহীন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেও হয়তো সেই ব্যাপারে সঠিক ভাবে অবগত নন। তাই এই সময় লোকজনের সংস্পর্শ থেকে দূরত্ব রেখে চলুন।
জ্বর হলে উপেক্ষা নয়
ঋতু পরিবর্তনের এই সময় ঠান্ডা লেগে জ্বর আসছে ভেবে অনেকেই আলাদা করে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এমনটি করবেন না। জ্বর হলে লক্ষ রাখুন পাশাপাশি কাশি, গলা ব্যথা, ক্লান্তি, অরুচির মত অন্য কোনও উপসর্গ আছে কিনা। যদি থাকে, তা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বাইরের জামাকাপড়ে বেশিক্ষণ নয়
বাইরে থেকে ফিরে প্রথমেই দ্রুত জামাকাপড় ছেড়ে ফেলুন। প্রয়োজনে ধুয়ে দিতে পারেন। বাইরের ছেড়ে রাখা জামাকাপড় দ্বিতীয় বার ভুলেও পরবেন না।
অবশ্যই মাস্ক পরুন
আজকার রাস্তাঘাটে মাস্কহীন মুখের ভিড় বেশি দেখা যায়। সুস্থ থাকতে মাস্ক ব্যবহার করুন। জামা কাপড়ের সঙ্গে মানানসই অনেক হাল ফ্যাশানে মাস্ক দেখা যায়, তবে এই পরিস্থিতি কাপড়ের ত্রিস্তরীয় মাস্ক পরাটাই বাঞ্ছনীয়। বাইরে থেকে কেউ বাড়িতে এলে অবশ্যই মাস্ক পরে থাকুন।
শুধু মাস্ক নয়, ব্যবহার করুন স্যানিটাইারও
রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাড়িতেও কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর ব্যবহার করুন স্যানিটাইজার। বাড়িতে অতিথি এলে তাঁদেরকে ঘরে বসানোর আগে স্যানিটাইজার মেখে নিতে বলুন।
খাওয়ার আগে হাত ধুয়ে নিন
খেতে বসার আগে শুধু স্যানিটাইজার মেখে নিলে হবে না। হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে তার পর ব্যবহার করুন স্যানিটাইজার।
শিশু এবং বয়স্কদের সুরক্ষিত রাখুন
পরিবারের ছোট এবং প্রবীণ কোনও সদস্য থাকলে তাঁদের উপর বাড়তি নজর রাখুন। শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতে কম থাকে। তাই এই দুই বয়সের মানুষ অতিরিক্ত সচেতনতা দাবি রাখে।