রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার আসন! ছবি: সংগৃহীত।
সকালে জলখাবার খাওয়ার পর নিয়ম করে রক্তচাপ বশে রাখার ওষুধ খেতে হয়। না হলেই রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। এই ধরনের ওষুধ এক বার খেতে শুরু করলে ছাড়ার উপায় থাকে না। তবে, দীর্ঘ দিন ধরে রক্তচাপ বশে রাখার ওষুধ খেলে অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আবার, সেই ওষুধ বন্ধ করলেও বিপদ! রক্তচাপ বেড়ে গেলে হার্টের উপর চাপ পড়ে। স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, জীবনধারায় সামান্য কিছু পরিবর্তন এবং ওষুধের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করলে উচ্চ রক্তচাপ বশে রাখা যায়।
কোন কোন আসন অভ্যাস করলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বশে রাখা যেতে পারে?
১) উৎকটাসন:
প্রথমে টান টান হয়ে সোজা দাঁড়ান। তার পর হাঁটু ভেঙে, কোমর সামান্য ঝুঁকিয়ে, শরীরকে চেয়ারের মতো অবস্থায় রাখুন। দুই হাত মাথার উপর তুলে নমস্কার করার ভঙ্গিতে রাখুন। প্রথমে বেশি ক্ষণ না পারলেও ৫ বার করে ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত ধরে রাখার চেষ্টা করুন।
২) পশ্চিমোত্তানাসন:
প্রথমে পা ছড়িয়ে শিরদাঁড়া সোজা করে বসুন। ভাল করে শ্বাস নিন। এর পর মাথার উপরে হাত দুটো সোজা করে নমস্কারের ভঙ্গিতে প্রসারিত করুন। এ বার শ্বাস ছাড়ুন। শরীর বেঁকিয়ে হাত দুটো পা অবধি নিয়ে যান। পা যেন না বেঁকে যায়। এই অবস্থায় হাত দুটো দিয়ে গোড়ালি জড়িয়ে ধরুন। এ বার পায়ের উপর মাথা রাখুন। কিছু ক্ষণ রাখার পর হাত দুটো আবার মাথা পর্যন্ত প্রসারিত করুন। তার পর ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় ফিরে যান। মানসিক চাপ কমানোর পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপও কমায় এই আসন।
৩) মৎস্যাসন:
ম্যাটের উপরে টান টান হয়ে শুয়ে দু’পা এক জায়গায় করে নিতে হবে। দু’পাশে টান টান করে রাখতে হবে দুই হাত। তার পরে চোখ বুজে ফেলতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাস থাকবে স্বাভাবিক। এ বার ধীরে ধীরে ধনুকের মতো করে বেঁকিয়ে ফেলতে হবে পিঠ। কাঁধও উঠে আসবে। শরীরের ভার কনুইয়ের পাশাপাশি থাকবে মাথা ও নিতম্বেও। বুক উপরের দিকে উঠে আসবে তবে। সবটা ঠিকমতো করতে পারলে অনেকটাই মাছের মতো দেখাবে। স্বাভাবিক ভাবেই চলতে থাকবে শ্বাস-প্রশ্বাস।
৪) যষ্টি আসন:
প্রথমে মাটিতে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। তার পর দু’টি হাত সোজা করে মাথার দু’পাশে তুলে রাখুন। এ বার মাথার উপর দিয়ে দু’টি হাত টান টান করে ধরে রাখুন। পায়ের পাতাও টান টান করে ভিতর দিকে টেনে রাখুন। এই অবস্থায় থাকুন অন্তত মিনিট দুয়েক।
৫) বজ্রাসন:
এই আসনটি করতে প্রথমে সোজা হয়ে বসুন। সামনের দিকে প্রথমে পা ছড়িয়ে দিন। এ বার হাঁটু মুড়ে তার উপর বসুন। গোড়ালি জোড়া রাখবেন এবং শিরদাঁড়া সোজা রাখবেন। হাত দুটো উরুর উপর সোজা করে রাখুন। দুপুর বা রাতে খাওয়ার পরেও এই যোগাসন করতে পারেন।