Flour

৫ আটা: রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপ দুই-ই নিয়ন্ত্রণ করে

সাধারণ বাড়িতে গমের আটা দিয়ে রুটি, পরোটা বানানো হয়। তবে অম্বলের ভয়ে ময়দা, আটা খেতে চান না অনেকেই। কিন্তু বিশেষ কিছু আটা যে হার্টের রোগ সামাল দিতে পারে, তা জানেন না অনেকেই।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৪:৫৭
Image of Flour

— প্রতীকী চিত্র।

একটা বয়সের পর হার্টের সমস্যা দেখা দেবে, এমন ধারণা এখন আর খাটে না। জিম করতে গিয়ে, পরীক্ষা দিতে বসে এমনকি সাঁতার কাটতে গিয়েও হৃদ‌্‌যন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার মতো বিভিন্ন ঘটনা নজরে এসেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, তাদের বয়স ১৭ থেকে ২৫-এর মধ্যে। চিকিৎসকেরা বলেন, পারিবারিক ইতিহাস থাকলে এই রোগের ঝুঁকি বেশি। তা ছাড়াও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসই হার্ট বিকল করে দেয়। তবে প্রতি দিনের খাদ্যাভাসে যদি সামান্য কিছু পরিবর্তন আনা যায়, তবে হার্টের রোগ সংক্রান্ত ঝুঁকি কিছুটা হলেও ঠেকিয়ে রাখা যায়। পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা বলছেন, হার্ট ভাল রাখতে আটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে হজমের সমস্যা হয় বলে অনেকেই গমের আটা থেকে তৈরি খাবার খেতে চান না। ‘গ্লুটেন’-এ অ্যালার্জি থাকলে তাঁদেরও আটা খেতে সমস্যা হতে পারে। তাঁদের জন্য রয়েছে আরও পাঁচ রকম আটা।

Advertisement

১) অমরন্থের আটা

এই আটায় রয়েছে ‘ফাইটোস্টেরল’, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে এ সব আটা দিয়ে যে সব সময় রুটি বানিয়েই খেতে হবে, এমনটা নয়। অমরন্থ বা রাজগিরা আটা দিয়ে পরোটা, হালুয়া, দোসা, উপমা— সবই বানানো যায়।

২) জোয়ারের আটা

‘ফেনল’, ‘ট্যানিন্‌স’ এবং উদ্ভিজ্জ ‘স্টেরল’-এর মতো ‘ফাইটোকেমিক্যাল’ রয়েছে জোয়ারের মধ্যে। এই যৌগগুলি ‘হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া’ বা রক্তে সামগ্রিক ভাবে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এ ছাড়াও জোয়ারে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ই, বি, আয়রন, ম্যাগনেশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় বিভিন্ন খনিজ থাকায় উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৩) কাঠবাদামের আটা

‘পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড’, ‘মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড’, ‘অয়েলিক অ্যাসিড’ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও, কাঠবাদামের আটায় রয়েছে ‘লিনোলেনিক অ্যাসিড’, যা রক্তবাহিকার পথ মসৃণ রাখে। ফলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। তবে এই আটা কেনা সকলের পক্ষে সম্ভব না-ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিনাবাদামের আটাও একই ভাবে উপকার করবে।

Image of Flour

— প্রতীকী চিত্র।

৪) বাজরার আটা

বাজরায় রয়েছে ‘লিগনিন’-এর মতো একটি অত্যন্ত উপকারী ‘ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট’, যা আসলে এক প্রকার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। নিয়মিত এই আটা খেলে হার্ট সংক্রান্ত যে কোনও রোগই ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব।

৫) ওট্‌সের আটা

সহজপাচ্য একটি ফাইবার হল ‘বিটা-গ্লুকান’ যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ‘বিটা-গ্লুকান’ নামক যৌগটি রয়েছে ওট্‌সে। তাই ওট্‌সের আটা দিয়ে তৈরি খাবার নিশ্চিন্তে খেতে পারেন হার্টের রোগীরা।

Advertisement
আরও পড়ুন