Sugar Eating Habits

দোকান থেকে মিষ্টি কিনে খান না, বদলে যা খাচ্ছেন তাতে শর্করার পরিমাণ বাড়ছে না তো?

চিনি বা শর্করার তো বিভিন্ন প্রকার হয়। যেমন, রান্নায় যে ধরনের চিনি দেওয়া হয়, তার মধ্যে সুক্রোজ় থাকে। বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকে গ্লুকোজ়। ফলের মধ্যে থাকে ফ্রুক্টোজ়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৫২
sings indicates that you are eating too much sugar

ছবি: সংগৃহীত।

ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল মিষ্টি। চিনি ছাড়া চা খেতে না পারা, কিংবা মিষ্টি দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রবণতা ওজন বাড়িয়ে দেয়। তাই অনেকেই মিষ্টি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেন। তবে মিষ্টি খাচ্ছেন না মানেই যে শরীরে চিনি যাচ্ছে না, তা কিন্তু নয়। আবার, চিনির বিকল্প হিসাবে অনেকেই গুড়, মধু, বিভিন্ন ধরনের সিরাপ খেয়ে থাকেন।

Advertisement

চিনি বা শর্করার তো বিভিন্ন প্রকার হয়। যেমন— রান্নায় যে ধরনের চিনি দেওয়া হয়, তার মধ্যে সুক্রোজ় থাকে। বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবারে গ্লুকোজ় থাকে। ফলের মধ্যে থাকে ফ্রুক্টোজ়। মল্টোজ় থাকে পাউরুটি এবং অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়ের মধ্যে। দুধের মধ্যে রয়েছে ল্যাক্টোজ়। চিনি বা গুড়ের বিকল্প হিসাবে মধু বা মেপ্‌ল সিরাপ খান অনেকেই। ‘প্রাকৃতিক’ হলেও এগুলি কিন্তু শর্করা। এই ধরনের যে কোনও খাবার শরীরে বেশি প্রবেশ করলেই গোলমাল ঘটতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র দেওয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্কেরা দিনে মোট ৫০ গ্রাম পর্যন্ত চিনি খেতে পারেন। খুব ভাল হয়, যদি তা ২৫ বা ৩০ গ্রামের মধ্যে রাখা যায়। খাবারের হিসাব করলে যা একটি ফ্রুট ইয়োগার্টের সমান।

রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে চলেছে কি না, বুঝবেন কী করে?

১) বেশি মিষ্টি খেলে বার বার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রায় হেরফের হয়। ওজনও বেড়ে চলে হু-হু করে।

২) এত ত্বকচর্চা করেও লাভ হচ্ছে না। মুখ ব্রণয় ভরে যাচ্ছে। আসলে গোলমালটা হচ্ছে অন্য জায়গায়। মিষ্টি দেওয়া খাবার বেশি খেলে তার প্রভাব পড়ে হরমোনের উপর। যার ফলে ত্বকে সেবাম উৎপাদনের হার বাড়লে মুখে ব্রণের উপদ্রবও বাড়তে থাকে।

৩) অতিরিক্ত চিনি ক্ষুদ্রান্ত্র শোষণ করতে পারে না। অবশেষে তা বৃহদন্ত্রে গিয়ে পৌঁছয়। ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে বিক্রিয়া করে সেখানে তৈরি হয় ‘এন্ডোটক্সিন’। যা আবার রক্তে এসে মেশে। যার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। প্রদাহজনিত সমস্যা বাড়তে থাকে।

৪) বেশি চিনি খেলে ইনসুলিন হরমোনের মাত্রায় হেরফের হয়। এই ভাবে ঘন ঘন হরমোন ওঠানামা করলে মনমেজাজ বিগড়ে যেতে পারে।

৫) অল্প বয়সেই ত্বক বুড়িয়ে যাচ্ছে। নামীদামি প্রসাধনী মেখেও বলিরেখার দাগ ফিকে হচ্ছে না। বেশি মিষ্টি খেলে ‘অ্যাডভান্সড গ্লাইকেশন এন্ড প্রোডাক্টস’ বা ‘এজিই’ তৈরি করে। এই উপাদানটি ত্বকের নিজস্ব প্রোটিন বা কোলাজেন ফাইবারের নমনীয়তা নষ্ট করে দেয়। ফলে সহজেই বলিরেখা পড়ে।

আরও পড়ুন
Advertisement