স্তনের সব লাম্প বা টিউমারেই কিন্তু ক্যানসার নয়। প্রতীকী ছবি
এ দেশে স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যাটা লাফিয়ে বাড়ছে ক্রমশ। তিরিশ পেরোনো ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যানসারের হানা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক হয়ে উঠছে। বিদেশে আবার আক্রান্তদের বেশির ভাগের বয়স ৫০-এর উপরে। ‘ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অব কাউন্সিল’-এর সমীক্ষা বলছে, শুধু ২০১৮ সালেই স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দু’লক্ষ মহিলা। ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন প্রায় ৮৭ হাজারেরও বেশি।
চিকিৎসকদের মতে, স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ের চাবিটি থাকে আক্রান্তের কাছেই। শারীরিক কোনও পরিবর্তন চোখে পড়লেই তৎক্ষনাৎ চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। প্রথম থেকেই এই অসুখ নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। বয়স ৩০ পেরোলেই শারীরিক কোনও অস্বস্তি অনুভব করলে যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে। তবে মনে রাখা প্রয়োজন, স্তনের সব লাম্প বা টিউমারেই কিন্তু ক্যানসার নয়। বরং ১০-১৫ শতাংশ টিউমারের ক্ষেত্রে এই ভয় থাকে। তবে তার চিকিৎসা দ্রুত শুরু হওয়া দরকার।
কী ভাবে বুঝবেন এমন ঘোরতর অসুখ শরীরে বাসা বাঁধছে কি না?
১) স্তনে তৈরি হওয়া মাংসের পিণ্ড সব সময় চামড়ার আড়ালেই থাকে। এ ছাড়া স্তনবৃন্তের আশপাশেও এই ধরনের মাংসের দলা থাকলে তা এড়িয়ে যাবেন না। মাংসপিণ্ডগুলি টিপলে যদি শক্ত লাগে তা হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান।
২) স্তনে কোনও রকম র্যাশ কিংবা চুলকানির মতো অস্বস্তি হচ্ছে কি? এমন হলে কিন্তু ফেলে রাখা ঠিক হবে না। স্তন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে এগুলি।
৩) কাঁধ এবং ঘাড়ের ব্যথাও কিন্তু স্তন ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ। কোনও কারণ ছাড়াই কাঁধে ব্যথা হলে নিজের মতো ব্যথার উপশমের পথ না খুঁজে, চিকিৎসককে দেখিয়ে নিন।
৪) স্তনের আকার বদলে যাওয়াও, স্তন ক্যানসারের অন্যতম ইঙ্গিত। স্তনের আকার বিকৃত হলে কখনও ফেলে রাখবেন না।
৫) অন্তর্বাস পরে থাকার সময় যদি কোনও ঘর্ষণ বা ছড়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয় কিংবা উপুড় হয়ে শুলে যদি ব্যথা লাগে, তবে চিকিৎসকের কাছে যেতে দেরি করবেন না।