বেশি পরিমাণে বাদাম খেয়ে ফেললে উল্টো ফলও হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
যত দিন যাচ্ছে, ওজন মাপার যন্ত্রের কাঁটা যেন ততই বৃদ্ধির দিকে যাচ্ছে। রোগা হবেন বলে হেঁশেল থেকে যাবতীয় কেক-বিস্কুট-চিপ্স-কুকিজ় ইতিমধ্যেই সরিয়ে ফেলেছেন! ফ্রিজেও চিজ়, মাখন, মেয়োনিজ় রাখার বালাই নেই। মনে মনে স্থির করে নিয়েছেন বাড়িতে শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার থাকবে। অফিসেই হোক বা বাড়িতে, হালকা খিদে পেলেই তাই মুঠো মুঠো চিনেবাদাম খাবার অভ্যাস অনেকেরই আছে। কিন্তু এক মাস এ ভাবে কাটার পর হঠাৎ ওজন মেপে তাঁর চোখ কপালে। ওজন তো কমেইনি, বরং দু’কেজি মতো বেড়ে গিয়েছে! অনেকেই এই সমস্যায় পড়েন। খিদে পেলেই মুঠো মুঠো বাদাম খেয়ে নেওয়া। সকালে জলখাবারে পাউরুটির উপরেও পিনাট বাটার লাগিয়ে খাওয়া, সন্ধ্যাবেলা ওয়েবসিরিজ় দেখতে দেখতেও চিপসের বদলে বাদামের চাট খাচ্ছেন। তাতেই হচ্ছে গোলমাল।
চিনেবাদাম স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভাল। ওজন ঝরানোর ডায়েটে সব পুষ্টিবিদই বাদাম রাখার কথা বলেন। এতে নানা রকম খনিজ, প্রোটিন ছাড়াও রয়েছে ‘গুড ফ্যাট’। কিন্তু বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেললে উল্টো ফলও হতে পারে। যেমন—
১) চিনেবাদামে ভরপুর মাত্রায় ফসফরাস থাকে যা শরীরে জমা হয় ফাইটেট হিসাবে। বেশি মাত্রায় ফাইটেট শরীরে জমতে শুরু করলে আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো কিছু জরুরি খনিজ শরীরে শোষণ করতে পারে না। দীর্ঘ দিন এ ভাবে চললে শরীরে জরুরি পুষ্টির অভাব হতে পারে।
২) হালকা খিদে পেলে কয়েকটা বাদাম খেয়ে নিলেই দ্রুত স্ফূর্তি জোগায়। সস্তায় পুষ্টিকর খাবারের ভাল উৎস। কিন্তু এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরিও থাকে। ফলে বেশি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।
৩) বাজার থেকে কিনে আনা বাদামে নুনের ভাগ অনেকটাই বেশি থাকে। এই বাদাম বেশি মাত্রায় খেলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
৪) বাদামে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন থাকে। তাই নিয়মিত মুঠো মুঠো বাদাম খেতে থাকলে পেটের গোলমাল হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়েরিয়া, গ্যাস— নানা সমস্যার কারণ হতে পারে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস।
৫) যাঁদের তৈলাক্ত ত্বক ও ব্রণর সমস্যা রয়েছে, তাঁদের নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় বাদাম খাওয়া উচিত। বাদামে থাকা ফ্যাটের কারণে এই সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।