আলুর খোসার পুষ্টিগুণ অন্য অনেক সব্জির চেয়ে বেশি। ছবি: সংগৃহীত
আলু অনেকেরই প্রিয় সব্জির মধ্যে একটি। আলু ছাড়া তরকারি অনেকেই ভাবতে পারেন না। মাংস হোক বা পাতলা মাছের ঝোল— আলু না থাকলে খাওয়াই যেন জমে না। তবে ডায়াবিটিস, ইউরিক অ্যাসিডের মতো ক্রনিক সমস্যার কারণে অনেকেই আবার আলু এড়িয়ে চলেন। যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন, রোজের পাতে আলু রাখতে চান না তাঁরাও। তবে আলু মানেই যে ক্ষতিকর, এ ধারণা ভুল। আলুরও রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্যগুণ। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, আলুর চেয়েও আলুর খোসা আরও বেশি উপকারী। এর পুষ্টিগুণ অন্য অনেক সব্জির চেয়ে বেশি। আলুর খোসা দিয়ে তরকারি করতে পারেন, কিংবা অল্প তেল দিয়ে ভেজেও নিতে পারেন খোসা। তার আগে আলুর খোসার স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরি।
আলুর খোসা কী ভাবে যত্ন নেয় শরীরের?
১) হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে আলুর খোসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আলুর খোসায় থাকা পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ক্যালশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা থাকলে ভরসা রাখতে পারেন আলুর খোসায়।
২) ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় আলুর খোসা। এই খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোকেমিক্যাল, যা অত্যন্ত শক্তিশালী একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এ ছাড়াও আলুর খোসায় থাকা ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড নানা ধরনের ক্যানসারের আশঙ্কা কমায়।
৩) হাড় ক্ষয় রোধ করতেও আলুর খোসা কিন্তু সমান ভাবে উপকারী। ক্যালশিয়াম-সহ আরও অনেক খনিজে ভরপুর আলুর খোসা হাড়ের যত্ন নেয়। হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়। যাতে সহজে আঘাতপ্রাপ্ত না হয়।
৪) কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন? আলুর খোসা হতে পারে আপনার সুস্থ থাকার অন্যতম অস্ত্র। এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং পলিফেনল, ফাইবারের মতো উপকারী উপাদান কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৫) ডায়াবিটিস থাকলে আলু খাওয়া বারণ। আলুর খোসা কিন্তু খেতেই পারেন। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে বার বার খিদে পাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। আলুর খোসায় থাকা ফাইবার বহু ক্ষণ পেট ভরতি রাখে।