ইসবগুলের ভুসি আর কী কী কাজে লাগে? ছবি: সংগৃহীত।
শীত হোক বা গ্রীষ্ম— কোষ্ঠকাঠিন্যের নিরাময়ে অনেকেরই ভরসা ইসবগুলের ভুসি। রাতে খাবার খাওয়ার পর ঈষদুষ্ণ জলে সামান্য এই ভুসি ভিজিয়ে খেলে সকালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শৌচাগারে বসে থাকতে হয় না। এই ভেষজের মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। জলে ভিজে এই ভেষজ আরও ফুলে ওঠে, পিচ্ছিল হয়ে যায়। পেটের নানাবিধ ব্যামো সারাতে আয়ুর্বেদে এই ভেষজের ব্যবহার বহু পুরনো। গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিরাময়ে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে ইসবগুলের ভুসির ব্যবহার হয়ে আসছে বহু দিন ধরে। তবে, পেট ভাল রাখা ছাড়াও এই ভেষজের আরও অনেক কাজ রয়েছে। জানেন, সেগুলি কী?
১) ইসবগুলের মধ্যে রয়েছে ফাইবার। যা হজম সংক্রান্ত সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে। পেটফাঁপা কিংবা গ্যাস্ট্রোএনটেস্টিন্যাল কোনও উপসর্গ থাকলেও সারবে ইসবগুলের গুণে।
২) নিয়মিত ইসবগুল খেলে রক্তে থাকা ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বশে রাখা যায়। ফলে কার্ডিয়োভাসকুলার রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে ইসবগুল।
৩) শরীরে জমা দূষিত পদার্থ বার করতে এবং অন্ত্র ভাল রাখতে ইসবগুলের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। অন্ত্র ভাল থাকলে বিপাকহার বৃদ্ধি পায়। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৪) ডায়াবেটিকদের জন্যেও ইসবগুল ভাল। এই খাবারের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যা রক্তে থাকা অতিরিক্ত গ্লুকোজ় শোষণে বাধা দেয়। ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ এবং উৎপাদনের সমতা বজায় রাখতেও ইসবগুলের ভূমিকা রয়েছে।
৫) ইসবগুল প্রোবায়োটিক হিসাবে কাজ করে। অন্ত্রের মধ্যে থাকা ভাল ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এই পথ্য। অন্ত্র ভাল থাকলে শারীরবৃত্তীয় অনেক কাজই সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়। পরিপাকতন্ত্রের উপরেও বিশেষ চাপ পড়ে না। হজম ভাল হয়।