ব্রাশের মুখে ঢাকনা পরিয়ে রাখা আদৌ ভাল? ছবি: সংগৃহীত।
স্নানঘরে তো রোগজীবাণুর অভাব নেই! তার উপর মাঝেমধ্যেই ছোট ছোট মাছি, আরশোলার উপদ্রব দেখা দেয়। তাই বেসিনের পাশে রাখা ব্রাশগুলি সুরক্ষিত রাখতে স্বচ্ছ ঢাকনা পরিয়ে রাখেন অনেকেই। দোকান থেকে কেনা অনেক সংস্থার ব্রাশেই এখন এই বিশেষ ঢাকনার ব্যবস্থা থাকে। আপাত ভাবে দেখতে নিরাপদ মনে হলেও তা কি দাঁত এবং মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যের জন্য আদৌ ভাল?
দাঁতের চিকিৎসকেরা বলছেন, দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা নোংরা চটচটে প্রকৃতির। তার উপর মুখের মধ্যে থাকা ব্যাক্টেরিয়া তো আছেই। ব্রাশ করার সময়ে সেই সব পদার্থ ব্রিসল্সের মধ্যে লেগে যায়। ব্রাশ ধোয়ার পরেও ব্যাক্টেরিয়া সেখানে থেকে যেতে পারে। ভিজে অবস্থায় ব্রিসল্সের মুখে ঢাকনা পরিয়ে রাখলে সেখানে ছত্রাক, ব্যাক্টেরিয়ার মতো পরজীবীরা সহজেই বাসা বাঁধতে পারে।
ব্রাশের ঢাকনার সঙ্গে মুখগহ্বরের সমস্যা কোথায়?
দাঁতের চিকিৎসকেরা বলছেন, ব্রাশ ধোয়ার পর ব্রিসল্স ভিজে অবস্থায় থাকাকালীন ঢাকনা পরিয়ে রাখলে তার মধ্যে সহজেই ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। সেই ব্রাশ দিয়ে পরবর্তী কালে আবার দাঁত মাজলে মুখগহ্বরের মধ্যে সেই ব্যাক্টেরিয়া চালান হয়ে যায়। ফলে ব্যাক্টেরিয়াঘটিত নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তা হলে কি ব্রাশে ‘কভার’ বা ঢাকনা ব্যবহার করা অনুচিত?
চিকিৎসকেরা বলছেন, ব্রাশের মুখে যদি ঢাকনা পরিয়ে রাখতেই হয়, সে ক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে কয়েকটি নিয়ম। দাঁত মাজার পর ব্রাশ ভাল করে ধুয়েমুছে নিতে হবে। তার পর খোলা হাওয়ায় বেশ কিছু ক্ষণ রেখে দিতে হবে, যাতে ব্রিসলস্ একেবারে শুকনো হয়ে যায়। তার পর ব্রাশের মুখে ঢাকনা পরিয়ে রাখা যেতে পারে। কিন্তু সেই ঢাকনাটিও সঠিক ভাবে পরিষ্কার করা হচ্ছে কি না, সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। ঢাকনা পরানো ব্রাশ সঠিক ভাবে দাঁড় করিয়ে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন ব্রাশের মুখ উল্টো দিকে না থাকে। কারণ, ভুলবশত যদি ব্রিসল্সের মধ্যে যৎসামান্য জলও থেকে যায়, তা ঢাকনার মধ্যে এসে জমা হবে। সেটিকেও ব্যাক্টেরিয়া নিজেদের বিচরণক্ষেত্র বলে মনে করতে পারে।