শুকনো খেজুর কী ভাবে খেতে হবে? ছবি: সংগৃহীত।
শীর্ণকায় চেহারার কিংবা অপুষ্টিতে ভোগা মানুষদের শুকনো খেজুর বা সোয়ারা খাওয়ার নিদান দেওয়া হয় পরম্পরাগত চিকিৎসা শাস্ত্রগুলিতে। আবার যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তাঁদেরও শুকনো খেজুর জলে বা দুধে ভিজিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
জলে বা দুধে ভেজানো শুকনো খেজুর খেয়ে দিন শুরু করলে সারা দিন শরীরে চনমনে ভাব বজায় থাকে। অতিরিক্ত ঘাম হলে শরীর থেকে অনেকটা খনিজ বেরিয়ে যায়। শরীরচর্চা করার পর ক্লান্তি বোধ করেন অনেকেই। এই সময়ে ‘এনার্জি ড্রিঙ্ক’ খাওয়ার ইচ্ছা প্রবল হয়ে ওঠে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, তা না করে দু’টি সোয়ারা খাওয়া যেতে পারে। তৎক্ষণাৎ ক্লান্তি কাটিয়ে দিতে পারে এই ফলটি।
শুকনো খেজুর খেলে আর কী কী উপকার হয়?
১) পুষ্টিগুণে ভরপুর
শুকনো খেজুরে আয়রন, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে। প্রয়োজনীয় বেশ কিছু ভিটামিনও রয়েছে এতে। সামগ্রিক ভাবে শরীর ভাল রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বিপাকহার উন্নত করতেও শুকনো খেজুরের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
২) এনার্জি বৃদ্ধি করে
গ্লুকোজ়, ফ্রুক্টোজ় এবং সুক্রোজ়ের মতো প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে শুকনো খেজুর বা সোয়ারাতে। জলে ভেজানো শুকনো খেজুর খেয়ে দিন শুরু করলে তৎক্ষণাৎ শরীরে চনমনে ভাব ফিরে আসে। শরীরচর্চা করলেও খুব ক্লান্ত লাগে না। বাজারজাত ‘এনার্জি ড্রিঙ্ক’-এর বদলে এই ফল খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর।
৩) হজমশক্তি বাড়িয়ে তোলে
শুকনো খেজুরে রয়েছে সহজপাচ্য ফাইবার। যা হজমের সমস্যা নিরাময় করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেও এই ফল খাওয়া যায়। অন্ত্রে ভাল ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে শুকনো খেজুর।
৪) হার্ট ভাল রাখে
হার্ট ভাল রাখতে পারে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম। শুকনো খেজুরে এই খনিজগুলি রয়েছে ভরপুর মাত্রায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৫) হাড় মজবুত করে
সোয়ারার মধ্যে রয়েছে ফসফরাস এবং ক্যালশিয়াম। এই দু’টি উপাদান হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। দাঁতের জন্যেও এই দু’টি খনিজ ভাল। বয়সকালে হাড় ক্ষয়ে যাওয়া বা অস্টিয়োপোরোসিসের সমস্যা রুখে দিতে পারে শুকনো খেজুর।